
সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে পুলিশ প্রশাসন লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর করায় শুধু পণ্যবাহী যানবাহনে দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে শুরু করে দাউদকান্দি ও চান্দিনা অংশে বিধিনিষেধের বাইরে যতো রকম প্রাইভেট গাড়ি আছে তা আটকে দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।
ঢাকাগামী ও বের হওয়া গাড়িগুলো যেখান থেকে এসেছে নিজ নিজ এলাকায় ফেরত পাঠাতে বাধ্য করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন মহল তবে গাড়িগুলো এলোমেলোভাবে এবং উল্টো পথে ঢাকা-কুমিল্লার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে সড়কে বিশাল যানজটের মাত্রা সৃষ্টি করে। প্রাইভেট গাড়ির কারণে পণ্যবাহী, অ্যাম্বুলেন্স, ঔষধ বাহী, প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায়।
দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে শুরু করে দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ ও চান্দিনা অংশে পৌঁছে যায় জটের মাত্রা। দীর্ঘ ২০ কিলোমিটারব্যাপী দুর্ভোগের কোনো সীমা ছিল না। দুপুর একটায় আমিরা বাদ বাস স্ট্যান্ডে আটকা পরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সচেতনতায় হোমনা-তিতাস এলাকায় দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর গাড়িগুলো মডেল থানা, হাইওয়ে থানার পাশাপাশি আনসার বাহিনী জট নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা যায়।
দাউদকান্দি-চান্দিনা অঞ্চলের দায়িত্ব প্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী তার গৌরীপুর অফিস থেকে বের হলে যানজট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রাইভেট গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর করতে হার্ডলাইনে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাই শুধু পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি গুলো ফিরিয়ে দেওয়ার কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৫:১৮ ১৩৭ বার পঠিত