
চলমান করোনা দুর্যোগে চিকিৎসকের পরেই ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মানুষকে ঘরে রাখতে গিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়ই বাইরে কাটাতে হচ্ছে র্যাব-পুলিশ সদস্যদের। যার কারণে করোনাভাইরাসে তাদের আক্রান্তের সংখ্যাটাও বেশি।
ফরিদপুরে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই মানুষকে ঘরে রাখা, সচেতনতামূলক প্রচারণা, নিহত ব্যক্তির দাফন বা সৎকার, আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে খাবার পৌঁছানো, কর্মহীন হয়ে পরা অসহায় মানুষদের খাবার-অর্থ দিয়ে সহায়তা করা, রাস্তায়-ফুটপাতে থাকা ঘরহীন মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে আসছে জেলা পুলিশ।
পিছিয়ে নেই র্যাব সদস্যরাও। এই করোনা দুর্যোগেও নিয়মিত টহল, বিশেষ অভিযান, মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে র্যাব সদস্যরা। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, র্যাব ৮ ফরিদপুর কোম্পানির ২০ জন সদস্য করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
ফরিদপুরে এ পর্যন্ত পুলিশের মোট ৪৯ জন সদস্য করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে এসআই ৫ জন, সার্জেন্ট ১ জন, এএসআই ৬ জন, এটিএসআই ১ জন, নারী এসআই ১ জন, কনস্টেবল ৩৫ জন। এর মধ্যে ভাঙ্গা থানাতেই আক্রান্ত ৩৩ জন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান জানান, শুরু থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই দুর্যোগে কাজ করছে পুলিশ। বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায়, করোনায় নিহত ব্যক্তির দাফনে বা সৎকারে কোনও লোক পাওয়া যায় না। সেখানে পুলিশ সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে দাফন ও সৎকারের ব্যবস্থা করছেন। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির ও পরিবারের নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
তিনি জানান, জেলায় মোট ৪৯ জন পুলিশ সদস্য করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এর মধ্যে ভাঙ্গা থানাতেই ৩৩ জন আক্রান্ত। ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স থেকে ফোর্স পাঠিয়ে ওই থানার দৈনন্দিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
পুলিশ থাকতে একটি মানুষও অসহায় অবস্থায় না খেয়ে এবং মৃত্যু ব্যক্তির দাফন বা সৎকার বন্ধ থাকবে না বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আক্রান্ত র্যাব-পুলিশ সদস্যদের বেশিরভাগ সদস্যই নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা জেলার পুলিশ হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষায়িত কোভিট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৭:৪৪ ১৩৩ বার পঠিত