আড়াইহাজার-মদনপুর সড়কের প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়কের প্রায় অংশেই খানাখন্দে ভরা। এ সড়কে প্রতিদিন শতশত যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। জানা গেছে, রুপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকায় প্রতিনিয়ত যানজটের কারনে আড়াইহাজার উপজেলার উত্তরঅঞ্চল নরসিংদী এবং পূর্বাঅঞ্চল ব্রাঞ্ছারামপুর দ্রুত মত সময়ে যাতায়তের জন্য (বাইপাস) এ সড়কটি ব্যবহার করছেন। চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা নরসিংদী গামী মালবাহী কনট্রিইনার ও ট্রাক যাওয়াতের জন্যও এ সড়কটি বেছে নিয়েছেন।
এছাড়াও আড়াইহাজার থেকে যাত্রীবাহি শতশত গাড়ী দ্রুত সময়ের ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়তের প্রধান সড়ক এটি। ব্যস্ততম সড়কটি পাশ^বর্তী জেলা নরসিংদীর এলাকা হয়ে আড়াইহাজার উপজেলা হয়ে সোনাগাওয়ের নোয়াপুর এলাকা পর্যন্ত খানাখন্দে ভরপুর। এতে গাড়ী যাতায়তে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী, চালক ও হেলপারদের। সম্প্রতি আড়াইহাজারে একটি জনসভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের আগমনকে কেন্দ্র সড়কের কিছু অংশ দায়সাড়া মেরামত করা হয়। এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
সরু এ সড়কে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের ফলে প্রায় সময় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকতে দেখা যায়। গাড়ী বিকল হয়ে পড়ছে প্রায় সময়। এতে ভোগান্তির মাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠে। বাস চলাচলে ব্যাহত হওয়ায় ধীরে ধীরে এ সড়কের সড়কের প্রধান বাহনই হয়ে উঠেছে সিএনজি। এ সড়কে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকায় এবং খানাখন্দের অজুহাতে দ্রুতের তুলনায় চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন নিয়মের চেয়ে দ্বিগুন থেকে তিনগুন বেশী। সন্ধ্যা হলেই ভাড়া আদায়ের হার আরো বেড়ে যাচ্ছে।
আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর জানান, সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ঢাকা থেকে মালামাল আনতে হচ্ছে। মদনপুর হয়ে আড়াইহাজারে আসতে সিএনজিই এখন একমাত্র ভরসা। এতে অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, সন্ধ্যা হলেই ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুন। পুরো সড়কে খানাখন্দ থাকায় সময়মতো গন্তব্যস্থলেও পৌঁছানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই শতশত গাড়ীরজট ঢেলে আমাদের যাতায়ত করতে হচ্ছে। গাড়ী প্রায় সময় রাস্তায় বিকল হয়ে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তির মাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠছে।
স্থানীয় অভিলাস পরিবহন কোম্পানীর চালক আল-আমিন বলেন, সড়কটি গাড়ী চলাচলের জন্য পুরো অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই গাড়ীর যন্ত্রঅংশ নষ্ট হচ্ছে। রাস্তায় অতিরিক্ত খানাখন্দের ফলে গাড়ী প্রায় সময় বিকল হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত গাড়ীর চাপ থাকায় সড়কের খানাখন্দের মাত্রা বেড়ে গেছে। এতে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রায় সময় যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এর ফলে আগের তুলনায় তার আয়রোজগারও কমে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সরকারি চাকরীজীবি মিজানুর রহমান বলেন, আড়াইহাজার-মদনপুর সড়কটি যেন একটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে গেছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন যানবাহন গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে। এতে সঠিক সময়ে গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে না। খানাখন্দের অজুহাতে দ্রুতের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে আমার স্বল্প আয়ের লোকজনের প্রতিদিন যাতায়তে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদ বিভাগের চিটাগাং রুট কার্যালয়ের প্রকৌশলী আলিউল্যাহ বলেন, সড়কের খানাখন্দের মেরামত কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে। কাজের ট্রেন্ডার হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৮:৩২ ৪৭২ বার পঠিত