
নারায়ণগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আদালতে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর ওই কিশোরী জীবিত ফেরার ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানার পুলিশ সুপার।
পুলিশ ও কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা ১৫ বছরের এক কিশোরী গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। তার বাবা দীর্ঘদিন খোঁজ করে মেয়ের সন্ধান না পেয়ে ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ ঘটনায় কিশোরীর মায়ের মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে গত ৭ ও ৮ আগস্ট পুলিশ একই এলাকার প্রেমিক আবদুল্লাহ, অটোচালক রকিব ও নৌকার মাঝি খলিল নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এ তিন আসামি দুদফা রিমান্ড শেষে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে আসামিরা জেলহাজতে রয়েছে। ঘটনার প্রায় ৫০ দিন পর গত ২৩ আগস্ট মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে জীবিত ফিরে পাওয়ার পর তার বাবা-মা বিষয়টি রাতে সদর থানায় জানায়।
স্বজনদের দাবি, তাদের মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং ইকবাল হোসেন নামে অন্য এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে এখন তাদের আর কোনো অভিযোগ নেই।
অপরদিকে মৃত কিশোরীর জীবিত ফিরে আসার মামলায় দুই আসামিকে জামিন দেননি আদালত। নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত সোমবার (৩১ আগস্ট) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ‘তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের আগেই আমাকে রিপোর্ট দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এসআই শামীম আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্টে তার কার্যক্রমে অসচেতনতার ছাপ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৭:৪৯ ৮৫ বার পঠিত