নারায়ণগঞ্জে থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় মতলবের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি মাকবুল-২ লঞ্চে রাত অনুমানিক ১১ টার দিকে ডাকাতি সংঘটিত হয়।
ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে মাকবুল লঞ্চের দুই শতাধিক যাত্রীর সর্বস্ব লুটে নেয় বলে জানান লঞ্চের যাত্রী মতলব উত্তর উপজেলার আনন্দ বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সুমন।
জানা যায়, লঞ্চটি নির্দিষ্ট সময়ের ১৫ মিনিট পরে গজারিয়া ঘাটে ভিড়ে।
গজারিয়া ঘাটে ভিড়ের ১০ মিনিট পূর্বে স্পিডবোর্টে করে একজন লোক লঞ্চে উঠে। গজারিয়া ঘাট ছাড়ার বেশ কিছুক্ষণ পরেই দুটি স্পিডবোর্ডে করে ১০-১২ জন ডাকাত লঞ্চে উঠে ফাঁকা গুলি ছুড়ে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাত্রীদের মোবাইল, নগদ টাকা, মহিলাদের স্বর্ণালঙ্কার, যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মালামালসহ সর্বস্ব লুটে নেয়। এভাবে ৩০ মিনিটের অধিক সময় ডাকাতি হয়। শেষের দিকে এসে যাত্রীরা চিৎকার করলে অনেকগুলো ফাঁকা গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। ষাটনল ঘাটে আসার খানিক আগেই ডাকাত দল লঞ্চ থেকে নেমে স্পিডবোর্ডে করে চলে যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের এই লঞ্চে চাকুরীজীবীরা বেশি যাতায়াত করে বিধায় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল বলে জানান লঞ্চের ছুকানি সবুজ মিয়া। লঞ্চের নিচতলায়, ক্যাবিনে, বাহডরে এমনকি ছাদের উপরেও আজ অনেক যাত্রী ছিল। লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ ঘাট থেকে প্রতিদিন রাত ৯ টায় গজারিয়া, ষাটনল, মোহনপুর, এখলাছপুর ও আমিরাবাদ লঞ্চঘাট হয়ে মতলবে আসে।
নৌপথে যাত্রী পরিবহন লঞ্চে নাইট সার্ভিস গুলি যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আনসার ভিডিপির স্কট রাখা বাধ্যবাধকতা থাকলেও সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের ভাণ্ডারে পরিণত করেছে নারায়ণগঞ্জের এই নৌ রুটটি কে । নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রতিদিন দুটি লঞ্চ নাইট সার্ভিস একটি মকবুল-২ অন্যটি শরীয়তপুর নড়িয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় রাত ৯ টায় যাত্রী পরিবহনের যাত্রীদের নিরাপত্তায় এই দুটি লঞ্চে আনসার স্কট নেই,
এছাড়া লঞ্চ পরিচালনাকারী দক্ষ কর্মচারী সারেং ও ছুকানি না, রেখে । স্বল্প পয়সার বেতনে অদক্ষ কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে যাত্রী পরিবহন লঞ্চগুলো সার্ভিস দিয়ে থাকেন কিছু লঞ্চ মালিক । এইরকম নানান অভিযোগ হাজারো দিনের। দেখ ভালের যেন কেউ নেই। নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিটিএ যদি সঠিক পরিচালনায় নিয়োজিত থাকতেন । হয়তো আজ এই যাত্রী পরিবহনের যাত্রী গুলো সর্বস্ব হারিয়ে সর্বহারা হতেন না ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৭:০১ ১৯৭ বার পঠিত