
মাওলানা ভাসানী ছিলেন বাঙালির চেতনার প্রতীক। তিনি ছিলেন, অনাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী একজন মানুষ।শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘মাওলানা ভাসানী ও আমাদের সময়ের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্রচিন্তা সংগঠক দিদারুল ভূঁইয়া, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের সমন্বয়ক অভিজিৎ রায়, মশিউর রহমান রিচার্ড। সভার সঞ্চালনা করেন অঞ্জন দাস।
রফিউর রাব্বি বলেন, যখন বঙ্গবন্ধুকে কারাবন্দি করা হয় তখন ভাসানী বলেছিলেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শেখ মুজিবকে মুক্ত করা না হলে জেলের তালা ভেঙে তাকে মুক্ত করে আনবো। পাকিস্তান সেই ঘোষণায় তাকে মুক্ত করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে ইতিহাস থেকে এই সমস্ত বিষয়গুলো মুছে ফেলা হয়েছে।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, মাওলানা ভাসানী ছিলেন অনাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী একজন মানুষ। মাওলানা ভাসানী বাঙালির চেতনার প্রতীক। যারা এই দেশকে স্বাধীন করেছিল তাদের কোনো প্রাপ্তি নাই। কিন্তু তাদেরকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ফায়দা লুটছে।
গণসংহতির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ক্ষমতাসীন কারও বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে গ্রেফতার হতে হয়।
রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, একটি মানবিক রাষ্ট্রে এরকমটা চলতে পারে না। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার পাচ্ছি না।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৮:১০ ১১২ বার পঠিত