
আড়াইহাজারে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন পিবিআই জেলা শাখা। হত্যাকান্ডের দীর্ঘ চার মাস পর প্রেমিককে গ্রেফতার করলে তার স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে এসেছে হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে পিবিআই জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার কার্য্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিহত নারী ফাতেমার পরিবারের স্বজনরা।
স্বজনরা জানান, আড়াইহাজার উপজেলার গহরদি থানার সাকিন এলাকার দরিদ্র দম্পতি বিল্লাল হোসেন ও সামছুন নাহারের বড় সন্তান ফাতেমা ছোটবেলা থেকেই পার্শ্ববর্তী গ্রাম মানিকপুরে নানার বাড়িতে থেকে বড় হয়। কিশোরি বয়স থেকেই মামা ইলিয়াস মোল্লার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খাবার হোটেলের রান্নার কাজে সহায়তা করতো ফাতেমা।
পরে মামা নিজের পছন্দমতো ফাতেমাকে বিয়ে দিলেও স্বামী শারিরীক ও মানসকি ভারসাম্যহীন হওয়ায় বিয়ের এক সপ্তাহ পর ফাতেমাকে ডিভোর্স করিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে আাসেন তিনি।
এদিকে ওই বাড়ি সংলগ্ন প্রতিবেশি মালয়েশিয়া প্রবাসি যুবক ইউনুছ আলী মহামারি করোনায় লকডাউনের কারণে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরে এসে ফাতেমার সাথে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে টানা পাঁচ মাস যাবত শারীরিক সম্পর্ক চলে।
বিষয়টি ইউনুছের পরিবার জানতে পেরে তালাকপ্রাপ্ত নারীর সাথে এই সম্পর্ক মেনে না নিয়ে ইউনুছকে অন্যত্র বিয়ে করনোরে চেষ্টা করতে থাকেন তারা। অন্যদিকে অন্ত:সত্ত্বা ফাতেমাও বিয়ের জন্য চাপ দিলে উভয়দিক থেকে পরিত্রান পেতে ফাতেমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ইউনুছ।
সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১০ আগস্ট রাত দশটার দিকে ইউনুছ ফাতেমাকে ফোন করে বিয়ের কথা বলে তাদের বাড়ির পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক সম্পর্কের পর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার পর পার্শ্ববর্তী নির্মানাধিন সেমিপাকা বাড়ির ভিটি বালুর নীচে গর্ত করে লাশ গুম করে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৩:৪৯ ১১১ বার পঠিত