
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজের ৩ তিন পর বাড়ির পাশে পুকুর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আরাফাত রহমানের (৯) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলার দুই নং আসামী রাব্বিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে লাউসার এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
এদিকে কেন কি কারণে আরাফাতকে হত্যা করা হতে পারে মামলায় তা উল্লেখ করেছেন বাদিনী নিহত আরাফাতের মা।
এরআগে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) নিহত আরাফাতের মা রিনজু বেগম বন্দরের লাউসার এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে রিপন (২৬) ও রাব্বির (২৩) নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তার চাচাতো দেবর লাউসার এলাকার আলী হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩০) জীবিকার তাগিদে বর্তমানে কুয়েতে অবস্থান করছেন। জহিরুলের অবর্তমানে বাদীর স্বামী রফিকুল ইসলাম মনা মেম্বার পরিবারটিকে দেখভাল করছেন। ইতোমধ্যে চাচাতো দেবরের স্ত্রী লাউসার এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে রিপনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে মনা মেম্বার দু’জনকে শাসন করেন। দুই মাস আগে রিপন চাচাতো দেবরের স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরে আসে। মনা মেম্বার এর প্রতিবাদ করলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তারা মনা মেম্বারকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। গত ১৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিপন ও তার বন্ধু রাব্বি ব্যাডমিন্টন খেলার কথা বলে আরাফাতকে নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার বাড়ির পাশের একটি পুকুরে আরাফাতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দীন ভুইয়া জানান, এ ঘটনায় নিহত আরাফাতের মা রিনজু বেগম বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। অপর আসামীদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত: বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার এলাকার একটি পুকুর থেকে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বন্দরের লাউসার এলাকার বাসিন্দা ও মদনপুর ইউপির সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে মনা মেম্বারের ছেলে আরাফাত রহমানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৭:৪৪ ১১০ বার পঠিত