নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আমি ধন্যবাদ জানাই তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলে ফেলেছে। কি বলছে ? বঙ্গবন্ধু ভার্স্কয ছিরাভিড়া লাথি দিয়া ভাইঙা ফালায়া দিবো। ভালো আপনাদের শক্তি আছে আপনারা করবেন।

আমি ভাবছিলাম আমার রাজনীতি শেষ এরপর পরবর্তী জেনারেশনের জন্য ছেড়ে দেই। কিন্তু এখন বুঝলাম দায়িত্ব শেষ হয় নাই, দায়িত্ব বেড়ে গেছে। ওরা আবার ছোবল মারা চেষ্টা করছে। আমি কিছু বিষয় জানি আর জানি বিধায় আমাকেই টার্গেট করে।

ওই কানাডায় আর লন্ডন বসে সাবেক আর্মি যাদেরকে চুরির দায়ে ক্যান্টমেন্টে ঢুকা নিষেধ করা হয়েছিলো তারা বিদেশি এজেন্টদের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির টাকা খেয়ে বাংলাদেশ সেনবাহিনীর নামে, বাংলদেশের প্রশাসনের নামে বাংলাদেশকে বিলুপ্তি করার চেষ্ট করছে। কিছু সাংবাদিক নামে জড়িত আছে যারা পয়সা পাচ্ছে এই গেইম খেলছে।

আমাদের সেনাবাহিনী সারা পৃথিবীতে সুনাম নিয়ে আসছে এই সেনাবাহিনীদের তারা বিতর্কিত করছে। তাদেরকে বলি যে সমস্ত ভাষায় তারা কথা বলছে, নেত্রীকে নিয়ে যেভাবে কথা বলছে আমার কাছে তখন মনে হয়েছে দায়িত্ব এখন বাড়লো।

এর পর হঠাৎ করে শুনলাম ভঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলবে আলেমরা। ওরা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে একবার হত্যা করেছে স্বশরীরে আর এই বার ভাস্কর্যে হাতুড়ি দিয়ে একবার না কয়েকশ বার হত্যা করেছে।

যারা বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে হাতুড়ি দিয়েছে ওদের পাকিস্তানের পাকবাহিনী প্রভুদেরকে, ৯০ হাজার সৈনিকদের ৭১ সালে নাকে খদ দেয়া হয়েছিলো রেইসকোর্স ময়দানে। তেমনি এবার তাদেরকে বাংলার ময়দানে ঠিক এইকভাবে এবার নাকে খদ দিয়ে এই বাংলার মানুষ মাটিতে দাবায়ে দিবে।

লাখো লোকের সমাবেশ চাই। আওয়াজ এমন ভাবে তুলতে হবে, যাতে তাঁরা বুঝে নারায়ণগঞ্জের খেলোয়াড়রা রেডি হয়ে গেছে, খেলা আরও একবার হবে। আগামী ৯ তারিখে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘন্টা বাজাতে হবে।

প্রত্যেক সময় আমরা ঘন্টা বাজিয়েছি। জামাতের বিরুদ্ধে আমরা প্রথম ঘন্টা বাজিয়েছি। ইশারায় যদি সব জায়গায় ঘন্টা বাজতো তাহলে জামাতের এই উথান হতো না আর আমাদের লজ্জা পেতে হতো না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও পৃথিবীর কোথাও নাই যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করে রাজনীতি করার সুযোগ পায়।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লা স্টেডিয়াম সংলগ্ন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড়ের পাশে নাসিম ওসমান অ্যামিউজমেন্ট মেমোরিয়াল পার্কে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণয়গঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বাবু চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিমউদ্দিন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান আসাদুজ্জামান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো জুয়েল হোসেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি।

এ শামীম ওসমান আরো বলেন, নেলসন ম্যন্ডেলা মাহাত্মা গান্ধি আর শেখ মুজিবুর রহমান এরা হাজার বছরে একজন আসে একটি জাতিকে মুক্ত করার জন্য। ওই মির্জাফররা আওয়ামীলীগকে বিভক্ত করতে চায়, কিন্তু তারা আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করতে পারবে না। যে খেলা শুরু হয়েছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে হয় নাই।

এটা সরকার পরিবর্তনের খেলা না, রাষ্ট্রক ধ্বংস করার খেলা। ৯ তারিখে শুধু স্বাধীনতার পক্ষের কর্মী থাকবে। ওরা আজকে বলছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানি না, কালকে বলবে নারীরা ঘর থেকে বের হতে পাড়বে না, পরশু বলবে একুশে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দেয়া যাবে না, তার পরের দিন বলবে ১৬ই ডিসেম্বরে ৩০ লাখ শহীদদেরকে শ্রদ্ধা দেয়া যাবে না, তারপরে বলবে পহেলা বৈশাখ করা যাবে না, একটার পর একটা আস্তে আস্তে বের করবে ওরা।

তিনি বলেন, অনেক লোক আছেন যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন কিন্তু রাজনীতি করেন না। শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে কিন্তু আমাকে ভালোবাসেন না। তারা যে কেউ হতে পারেন। আমাদের বাসার কাজের লোক, কোন ব্যবসায়ী, অভিনেতা। সমাজের জন্য যারা কিছু করতে চায়, তাদের এগিয়ে আসতে সাহায্য করুন।

অনেকে লজ্জায় সামনে আসতে চায় না কিন্তু তারা সমাজের জন্য কিছু করতে চায়। তাদের পাশে দাঁড়ান, তাদের বলেন ‘আমরা আছি তোমার পাশে, তুমি এগিয়ে যাও সমাজের কল্যানে’। প্রতিটা ওয়ার্ড ভিত্তিক আপনারা পঞ্চায়েত গঠন করেন, আমরা ওই পঞ্চায়েতকে পরিচালনা করবো না ওই পঞ্চায়েত আমাদেরকে পরিচালনা করবে।

শামীম ওসমান বলেন, আমার নাকি ৬ টা সিকিউরিটি আছে। আমার যাও একটা ছিলো সরকার নিয়ে গেছে আমার সিকিউরিটি লাগে না। তারা শুধু এটুকু বলে নাই বলেছে আমিনাকি ভারত থেকে ৬ হাজার মানুষ এনে পাসপোর্ট দিয়েছি তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। তোদের জন্য ভারতের লোক লাগে না নারায়ণগঞ্জের মানুষের বৈঠার বারি যথেষ্ট। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা পানির মধ্যে ডুবায় রাখেলে এমনেই মইরা যাবে।

তিনি বলেন, আমি কিছু জানি আর জানি বিধায় এখন দায়িত্বটা বেড়ে গেছে। ওরা আমাদের রাজ্যের ভবিষ্যত শেষ করে চায়। নো বিএনপি নো আওয়ামীলীগ। বিএনপি বহু নেতা জাতিয় পার্টি গোপনে এক হয়েছে আমার সাথে। হেফাজতের বহুনেতা বহু আলেম আমার সাথে কথা হয়েছে।

তাদের প্লান হচ্ছে এর রাষ্ট্রকে অকার্য রাষ্ট্রে পরিনত করতে চায়। যারা সুপ্রিম পাওয়ার পেতে চায়। ওরা আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচুত্য করতে চায় না ওরা দেশটাকে ধ্বংস করতে। ওরা আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাকের মত করতে চায়। আমাদের আর্মি, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাববাহিনীদের নিয়ে মিথ্যা কথা বলে তাদের মন ভেঙে দিতে চায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৪:৩৮   ১২২ বার পঠিত