
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান বলেছেন, অ্যাস্ট্রেজেনেকার অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন যারা গ্রহণ করেছে তাঁদের শারীরিকভাবে বড় কোনো সমস্যা এখনো দেখা দেয়নি। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণে পরবর্তীতে কারো শরীরে কোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেবার জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সবাইকেই টেলিমেডিসিন সেবা দেবে সরকার।
আজ তেজগাঁওস্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশের স্বাস্থ্য বিটের সংবাদ কর্মীদের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ভ্যাকসিন দেশে আসার পর কীভাবে মানুষকে দেয়া হবে এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আরো জানান, ভ্যাকসিন দেশে আসার পর প্রথমে ঢাকার ৪টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল-কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ জন কর্মীদের দেয়া হবে। এরপর ৭ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যবেক্ষণ শেষে ভ্যাকসিন দেশের মানুষের জন্য প্রয়োগের কাজ শুরু করা হবে।
দেশে কোনো নকল ভ্যাকসিন প্রয়োগের সুযোগ আছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জানান, দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর নিয়মের মাধ্যমে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। এর জন্য সরকার “সুরক্ষা অ্যাপ” নামে একটি মাত্র সরকারি অ্যাপ থেকেই ভ্যাকসিনের জন্য নাম নিবন্ধনের সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে নকল ভ্যাকসিন প্রয়োগের আর কোনো সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ জানান ভ্যাকসিন দেশে এলে সেটিকে যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং এই ভ্যাকসিন প্রদানে যেন কোনো প্রকার অনিয়ম না হয় সে ব্যাপারে সরকার কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা রাখবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৮:২২ ৮০ বার পঠিত