রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে
বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের
উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী
গড়তে এ উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
বিশ্বব্যাপী শিল্পায়ন ও নগরায়নের প্রভাবে দিন দিন পরিবেশ দূষণ বেড়ে
চলেছে। পরিবেশ দূষণের প্রভাবে জলবায়ুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য
করা যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হচ্ছে পলিথিন ও প্লাস্টিক
দ্রব্য। সাশ্রয়ী মূল্য ও দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী
থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। পলিথিন বা
প্লাস্টিক বর্জ্য মাটি, জলাশয়, নদ-নদী ও সমুদ্রকে দূষিত করছে, বাড়ছে মানব
স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। এ বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের স্লোগান
নির্ধারণ করেছে অর্থাৎ ‘প্লাস্টিক পুনঃব্যবহার করি,
না পারলে বর্জন করি’ এবং প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে
অর্থাৎ ‘আসুন প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি’- বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা অত্যন্ত
সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।
প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে ক্রমেই
প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। তাই এখন প্লাস্টিক বর্জ্যরে সঠিক
ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। ইতিমধ্যে সরকার জাতীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৩জ
কৌশল গ্রহণ করেছে। পাটের উৎপাদন এর বহুমুখী
ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ধান, চালসহ আরও কয়েকটি পণ্য প্যাকেজিংয়ে পাটজাত
সামগ্রী ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জৈব পচনশীল পাটজাত পণ্যের
বহুমুখী ব্যবহার পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমার
বিশ্বাস। একটি সুন্দর আগামীর জন্য পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে এগিয়ে
আসতে আমি সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০১৮’ উদযাপন সফল হোক এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৬:২৯ ৪২৫ বার পঠিত