নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ ও প্রখ্যাত আইনজীবী মো. ফজলে রাব্বী মিয়া

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ ও প্রখ্যাত আইনজীবী মো. ফজলে রাব্বী মিয়া
শুক্রবার, ২৯ জুন ২০১৮



---রাত পৌনে একটা বাজে। মাইক্রোবাসের আলো পড়তেই দেখা গেলো- গ্রামের রাস্তায় লুঙ্গিপরা খালি গায়ে ঘাড়ে গামছা ভীষণ উদ্বিগ্ন চেহারায় পায়চারি করছেন। এলোমেলোভাবে কয়েকজনকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে। আমাদের গাড়িটাও থেমে গেলো। মুহুর্তেই চোখ কপালে! উদ্বিগ্ন এই মানুষটি হচ্ছেন- জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার সাতবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়া। একদল সাংবাদিক ঢাকা থেকে আসছে। সন্ধ্যার মধ্যে পৌঁছানোর কথা। অনিবার্য কারণে দেরি হচ্ছে। আর সেটাই ছিলো তাঁর উদ্বেগের কারণ। কেননা যারা আসছে তারা তার অতিথি।
এমন আতিথীয়তা খুব কম মানুষই করতে পারেন বলে আমার মনে হয়। ফজলে রাব্বি মিয়া আগের দিন রাতের ট্রেনেই সাঘাটা পৌঁছেছিলেন। আমারা যেতে যেতেই খবর পাচ্ছিলাম ২০ কেজি ওজনের কাতলা মাছ আনা হয়েছে। আর সন্ধ্যা নামতেই কিছুক্ষণ পর পর সাঘাটা থেকে ফোন আসা শুরু হয়ে যায় কত দূরত্বে আছি জানার জন্য। মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার নির্দেশেই ফোনগুলো আসছে বোঝা যাচ্ছিল। নিজেও ফোন দিয়েছেন কয়েকবার। যাই হোক- ডেপুটি স্পিকার নিজেই আমাদেরকে সরাসরি নিয়ে গেলেন খাবার টেবিলে। তখনও তিনি রাতের খাবার খাননি। নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে খাওয়ালেন। আমাদের খাওয়া শেষ হলে অন্যান্যদের সাথে নিয়ে নিজে খেলেন। আমরা বিস্মিত, মুগ্ধ!! তবে যিনি দেশে-বিদেশে জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিত্ব করেন সেই ফজলে রাব্বি মিয়াকে দেখে অবাক হওয়ার এখনো বাকী- সেটা বুঝলাম পরদিন সকাল ৮টায়।
আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার অতিথিশালায়। আমাদেরকে সকালের নাস্তা একসাথে করবেন বলে বিদায় দিলেন। তখনও উঠোনের পাশের মসজিদের মধ্যে এলাকার কয়েকজন অপেক্ষা করছেন। পরদিন সকালে পুনরায় ফজলে রাব্বি মিয়ার বাড়িতে পৌঁছে দেখা গেলো- বাইরের দাতব্য চিকিৎসালয়ের ভিতরে বাইরে কয়েকশ’ মানুষ অপেক্ষা করছেন। জানা গেলো ডেপুটি স্পিকার ভিতরে বসে একে একে সবার সমস্যার কথা শুনছেন আর সাধ্যমতো সমাধান দিচ্ছেন। প্রতিবেশীরা জানালেন, উনিতো ফজরের নামাজ পড়েই এখানে বসেছেন। তখন থেকেই চলছে। আমাদেরকে দেখেই তিনি আমাদের নাস্তা করে নেওয়ার নির্দেশ দিলেন। যথারীতি সকলের সাথে সাক্ষাৎ শেষে এসে নিজে নাস্তা করলেন। ততক্ষনে নির্ধারিত কর্মসূচিতে যাবার সময় হয়ে গেছে। দ্রুতই বেরিয়ে পড়লেন। আমাদের গাড়িটাও বহরের সাথে চলল। নির্বাচনী এলাকায় একের পর এক কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করছেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া। দু’টো কর্মসূচির মধ্যবর্তী সময়ে দুপুরের খাওয়া দাওয়া। এভাবে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষে আবার স্থানীয় মানুষদের সমস্যা সমাধে মনোনিবেশ করেন। চলতে থাকে গভীর রাত পর্যন্ত।
ডেপুটি স্পিকারের নিজের বাড়িতে রাতে এক প্রকার মহাভোজের আয়োজন। এভাবে পুরো দু’টো দিন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার জন্মস্থান তথা নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি- রাষ্ট্রের এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজ হাতেই অতিথি আপ্যায়ন করেন সবসময়। অতিথিদের খাওয়ানোর পরেই নিজে খাবেন।
গাইবান্ধার সাঘাটা-ফুলছড়ির প্রাণ পুরুষ এলাকার মানুষের প্রিয় ভেলু চাচা (ফজলে রাব্বি মিয়া) জন্ম ১৯৪৬ সালে সাঘাটার গটিয়া গ্রামে। শৈশব-কৈশোরের দূরন্তপনার মধ্য দিয়ে লেখাপড়া আর সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে উঠেছেন তিনি। রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছে ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের মার্শাল ল’ বিরোধী মিছিলের নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাচার অনুপ্রেরণায় সেদিন মিছিল বের হয়েছিলো। কলেজ জীবনে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যে ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল গাইবান্ধার নেতৃত্বে ছিলেন ফজলে রাব্বি মিয়া এবং হাসান মাহমুদ সিদ্দিক। তখন সভা-সমাবেশ করেছেন পুরো মহকুমা জুড়ে।
এবিষয়ে আলাপকালে ফজলে রাব্বী মিয়া জানান, তখন এলাকার মানুষ বক্তব্য শোনার জন্য রাতের অন্ধকারে হারিকেন নিয়ে আসতো। আমরা স্কুল কলেজের পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে সভা-সমাবেশ করে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শে আজও পথ চলছেন তিনি। গাইবান্ধা কলেজ থেকে বিএ পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে ভর্তি হওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। বিভিন্ন কারণে ভর্তি না হয়ে চলে আসেন ঢাকায়। সেখানে তাঁর অভিভাবক চাচা মতলুবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি করিয়ে দিলেন। জীবনের মোড়টা ঘুরে গেলো আইনে ভর্তি হওয়া থেকেই। ল’ পাস করেই নিজের জন্মস্থানে ফিরে যান এবং গাইবান্ধা উকিল বারের একজন আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। আইনজীবী পেশায় থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছেন। ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হলেও স্বপ্ন দেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার। তবে স্বাধীনতার পরে যুদ্ধ বিধস্ত এলাকার উন্নয়নে নিজের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য সংসদ সদস্য হতে চেয়েছেন। আর প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মধুর স্মৃতি তাকে রাজনীতিতে ধরে রেখেছে।
বঙ্গবন্ধুর সাথে ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতার বর্ণনা করতে গিয়ে ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থানের পর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গাইবান্ধা গিয়েছিলেন। এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় নিজ হাতেই বঙ্গবন্ধুকে তালপাখা দিয়ে বাতাস করেছেন। এজন্য নিজেকে সৌভাগ্যবাদ দাবি করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে তিনি গাইবান্ধা-৬ আসন থেকে নমিনেশন চেয়েছিলেন। গণভবনে (এখন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) সাক্ষাৎকার বোর্ডে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘এই তুই কেনো আসছিস? তোর ফুলছড়ি ঘাটের খবর কি? তোর লাল বাহিনীর খবর কি?’
তখন ফজলে রাব্বি মিয়া বলেছিলেন, স্যার আমি নমিনেশন চাই। বঙ্গবন্ধু উত্তরে বলেন, ‘তোকে তো নমিনেশন দেবো না, তুই যা। তিনি (ফজলে রাব্বি মিয়া) বলেন, স্যার ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তো আমি তার জন্য কাঁধে মাইক নিয়ে কাজ করেছি। এবার আমাকে দেন। বঙ্গবন্ধুর উত্তর ছিলো, বলছি তো তোকে দেবো না, তুই যা, তোকে সামনের বার দেবো। তখন ক্যাপ্টেন মনসুর ফজলে রাব্বি মিয়া সম্পর্কে বলেন, নেতা ও কিন্তু জলন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাকে লিবারেটেড এলাকা দিয়ে ঘুরিয়েছে এবং জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছে। এরপরও বঙ্গবন্ধু বলেন, বললাম তো তোকে সামনের বার দেবো। আমি আর কথা না বাড়িয়ে শুধু বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু আপনি যা বলবেন তাই হবে।
লাল বাহিনীর প্রসঙ্গ জানতে চাইলে ফজলে রাব্বি মিয়া বললেন, বঙ্গবন্ধু লাল বাহিনীর খবর জানতে চাওয়ার কারণ ছিলো, তখন তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ তিস্তামুখ ঘাট শাখার সভাপতি ছিলেন। ফুলছড়ি, বাহাদুরবাদ, সিরাজগঞ্জ ও জগন্নাথগঞ্জ এই চারটি ঘাট মিলে একটা ইউনিট ছিলো। ফজলে রাব্বি মিয়া এই ইউনিটের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তখনও কুলিরা লাল পোশাক পরতো। সাধরাণভাবে কুলিরা বেশি সাহসীও হতো। একারণেই তাদেরকে বঙ্গবন্ধু তাদের লাল বাহিনী বলতেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি কথা মনে করে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
নির্বাচনী এলাকাসহ জাতীয় সংসদ ভবনেও ব্যাপক কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করে যাচ্ছেন সাত বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মিয়া। তিনি তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম সংসদের নির্বাচিত এমপি হয়েছেন। সংসদ সদস্য হিসেবে ৭ম জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নবম সংসদে ফজলে রাব্বি মিয়া সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং কার্যউপদেষ্টা কমিটি, কার্যপ্রণালী-বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সভপিতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আর দশম সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া জাতীয় সংসদের লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও দেশে অনুষ্ঠিত দু’টি আন্তর্জাতিক সিপিএ এবং আইপিইউ সম্মেলন সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ভারত, নেপাল, কম্বোডিয়ার, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভন্ন দেশ সফর করেছেন।
বর্ণময় দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার বলেন, আমাদের একান্নবর্তী পরিবার ভেঙ্গে এখন ছোট হয়ে যাচ্ছে। এই প্রজন্মের শিকড়ের টান কিছুটা হলেও কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সময় পেলেই ছুটে যেতেন জন্মস্থানে মায়ের কাছে। দু’বছর হলো মা নেই তবে জন্মস্থানের টান, এলাকার মানুষের কাছে ছুটে যাওয়ার ইচ্ছা আগের মতোই রয়েছে। এখনকার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে আমাদের বেড়ে ওঠার অনেক পার্থক্য রয়েছে।
যুব সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে সামাজিক সহমর্মিতা, সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের ঘাটতি বা নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র বেশ প্রকট হয়ে উঠায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সামাজিক এসব অবক্ষয় রোধ করা না গেলে জাতি হিসেবে আমাদের ভবিষ্যত সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে। তিনি আরো বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ইতিবাচক দিকগুলোর পাশাপাশি নেতিবাচক বিষয়গুলো সম্পর্কেও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে ইলেক্টোনিক ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণী পর্যন্ত অভিভাবকদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
আগামী প্রজন্মকে সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওরাই দেশের ভবিষ্যৎ। অদূর ভবিষ্যতে ওরাই দেশের নেতৃত্বে দেবে। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪০:৪৮   ১০৪৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ