
নিহত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার ও দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়ার দাবি জানিয়ে মোম শিখা প্রজ্জলন করেছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শহরের আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগারের সামনে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই আয়োজন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ খেলাঘর আসরের সভাপতি রথিন চক্রবর্তী, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, আলোকচিত্র আনোয়ার হোসেন, দিনা তাজরিন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি জাহিদুল হক দিপু প্রমুখ। রফিউর রাব্বী বলেন, সরকারের ইচ্ছায় ত্বকী হত্যাসহ অনেক হত্যাকান্ডের বিচার হচ্ছে না। তাই বলে আমরা থেমে যাবো না। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে যাবো। জাতীয় নির্বাচন আসছে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমরা তাদের দেখতে চাই না যারা শিশু হত্যা করে, গুম খুন করে।’ রাব্বী বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। এ মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এক সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই যে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন ওই হত্যাকারীদের শাস্তি হয়েছে। তবে এর সঙ্গে দাবি জানাই ত্বকী, চঞ্চল, আশ্বিক, ভুলু সহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার করুন।’ আলোকচিত্রী শহিদুল আলম গ্রেফতারে নিন্দা জানিয়ে রফিউ রাব্বী বলেন, অবিলম্বে শহিদুল আলমকে মুক্তি দেওয়া হোক।’ প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে ত্বকী শহরের শায়েস্তাখান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরে ৮ মার্চ সকালে চাড়ারগোপে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ত্বকী হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ৮জনই পলাতক। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন আসামি ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত ভ্রমর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু এ হত্যাকান্ডের ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত এ মামলার অভিযোগ পত্র দেয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৪:৫২ ৪২২ বার পঠিত