মাতারবাড়িতে হবে এলএনজি টার্মিনাল!

প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মাতারবাড়িতে হবে এলএনজি টার্মিনাল!
মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩



মাতারবাড়িতে হবে এলএনজি টার্মিনাল!

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির পূর্ণাঙ্গ হাব হিসেবে রূপ নিতে যাচ্ছে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পর পরিকল্পনায় আছে একই ক্ষমতার আরও একটি এলএনজিভিত্তিক কেন্দ্র। তাই এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।

সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে বাস্তবে রূপ পাওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে চলছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই উৎপাদনে আসার কথা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির।

জাপানের সহায়তায় মাতারবাড়িতে একই ক্ষমতার আরও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা ছিল। তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়নে জাপান অনীহা প্রকাশ করায় সরকারকে বিকল্প ভাবতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস)। তাই এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা। এটি আমাদের প্রয়োজন। ইতোমধ্যে পরামর্শক দেখে জায়গা নির্বাচন করে গেছেন। তাই আমরা আশাবাদী।’

নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, একই জায়গা ঘিরে বড় আকারের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, কয়লা ও এলএনজি টার্মিনালের মতো বৃহৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা থাকলেও, গভীর সমুদ্রবন্দর মাতারবাড়িকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। কৃত্রিম চ্যানেলের পর জেটি তৈরি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কয়লা কিংবা এলএনজি–উভয় জ্বালানি পায়রা-রামপালের তুলনায়ও সহজে পরিবহনই হবে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ডিপ সি এনার্জি পোর্ট হবে। এটির সঙ্গে দেশের অন্যান্য বন্দরগুলো সংযুক্ত থাকবে। এটি ৩০০ মিটার প্রশস্ত করা হচ্ছে এবং প্রায় সাড়ে ১৮ মিটার গভীর। যেখানে চট্টগ্রাম বন্দর মাত্র ৯ মিটার গভীর। ‍সুতরাং প্রায় আড়াই গুণ গভীর সমুদ্রবন্দর কৃত্রিমভাবে তৈরি হচ্ছে। প্রায় ৮০ হাজার টনের হাজার এখানে ভিড়তে পারবে। সুতরাং আমাদের জন্য এটি সাংঘাতিক ফিসিবল (কার্যকরী)।’

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন শুরু হতে হতে বৈশ্বিক পরিস্থতিও নাগালের মধ্যে আসবে বলে আশা করছেন নীতিনির্ধারকরা। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক জ্বালানি সংস্থান নিয়েও এখনকার অস্থিরতা কাটবে বলে মত তাদের।

শতভাগ বিদ্যুতায়নের পর এবার মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। আর সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুত করা হচ্ছে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি। তবে আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল এখানকার বড় আকারের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পর্যাপ্ত জ্বালানি সংস্থানের পথ মসৃণ রাখা। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো।

বাংলাদেশ সময়: ১২:০৮:১৪   ২৪৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

চট্টগ্রাম’র আরও খবর


পরিবেশ অধিকারকে ‘মৌলিক’ অধিকার করার দাবি অ্যাটর্নি জেনারেলের
১১ জুলাই ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’: আসিফ মাহমুদ
কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট
পুশইন বন্ধ হয়নি, মাঝে মধ্যে ভারতীয় ও রোহিঙ্গাদেরও পাঠাচ্ছে বিএসএফ
নোয়াখালী বৃষ্টির পানি বাড়ায় চার উপজেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ
কুমিল্লায় বাড়ছে গোমতী নদীর পানি, জরুরি সতর্কতা
উজানের ঢলে ফেনীতে ৩ নদীর বাঁধ ভেঙে ৩০ গ্রাম প্লাবিত
রেকর্ড ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ‘ডুবতে’ বসেছে ফেনী শহর
কুমিল্লা সীমান্তে ৪৭ লাখ টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ
আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন পালনের স্বার্থকতা : ধর্ম উপদেষ্টা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ