তৃণমূলের ঐক্য সংহতি দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে : তথ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » তৃণমূলের ঐক্য সংহতি দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে : তথ্যমন্ত্রী
রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩



তৃণমূলের ঐক্য সংহতি দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে : তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ দলের তৃণমূলের ঐক্য ও সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনারাই দলের প্রাণ, আপনারাই দলের জীবনীশক্তি। সুতরাং আপনাদের ঐক্য, সংহতি দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে, দলের শক্তিকে বাড়াবে।’ মন্ত্রী আজ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে- দেশ যে আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা অব্যাহত থাকবে, না কি দেশ পাকিস্তানের মতো পেছনের দিকে হাঁটবে। সুতরাং আমাদের ঐক্য, সংহতি, সাংগঠনিক শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমি তৃণমূল্যের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাই।’ তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তৃণমূলেই আওয়ামী লীগের প্রাণ। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে আমাদেরকে হারানোর শক্তি কারো নেই। যেখানে আওয়ামী লীগ হারবে, মনে করতে হবে- সেখানে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেনি। নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। কারণ গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে এবং প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্যের যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে যে যতো কথাই বলুক, বিশ্বে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তার প্রশংসা করে ‘দি ইকোনোমিস্ট’ রিপোর্ট ছাপিয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য দেশ পারছে না, আমরা পারছি।’
তৃণমূলের ঐক্য এবং সংহতি দৃঢ়তর করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইদানিংকালে কোথাও কোথাও এক বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় গত সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে এই মর্মে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে যে, কমিটি হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে । তা না হলে সেটি বাতিল করা হবে। সুতরাং এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সম্মেলন করে আসা হয়, কমিটি হয় না, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকও হয় না। এগুলো পরিহার করতে হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই মাসে মিটিং ডাকার বাধ্যবাধকতা আছে। কিছুদিন পরপর বর্ধিত সভা যেমন, থানা কমিটি হলে ইউনিয়নের ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সভা ডাকা প্রয়োজন। তাহলে দলের মধ্যে একটা ঐক্য-সংহতি তৈরি হয়।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, আসাদুজ্জামান নূর এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় নেতা শাহবুদ্দিন ফরাজি, আফতাব উদ্দিন সরকার এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রাবেয়া আলীম, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকসহ নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবন্দ বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৭:৫৮   ২৪০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আল কোরআন ও আল হাদিস
আজকের রাশিফল
জাতি হিসেবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ত্যাগ বৃথা যেতে দেয়া যাবে না : শিক্ষা উপদেষ্টা
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা নিশ্চিত করতে সমাজসেবা কর্মকর্তাদের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
নিষিদ্ধ পলিথিন রোধে র‌্যাবের জনসচেতনতামূলক অভিযান
পাকিস্তানের সঙ্গে সব অমীমাংসিত বিষয়ে আলোচনা হবে : তৌহিদ হোসেন
লালমনিরহাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় কারাদণ্ড
সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না : ডা. তাহের
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেবে : তারেক রহমান
শেখ হাসিনার বিষয়ে ইতিবাচক উত্তর দেয়নি ভারত : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ