বিপদগামী শিশু-কিশোররা অপরাধপ্রবণ গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ছে - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বিপদগামী শিশু-কিশোররা অপরাধপ্রবণ গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ছে - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩



বিপদগামী শিশু-কিশোররা অপরাধপ্রবণ গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ছে- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিভিন্ন বাহারি নামে অনলাইন ও অফলাইনভিত্তিক গ্যাং গঠন করে বিপথগামী শিশু-কিশোররা মারামারি ও হানাহানিতে লিপ্ত হচ্ছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি জানান, বর্তমান এক শ্রেণির বিপথগামী শিশু-কিশোরের মধ্যে গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ওই সকল শিশু-কিশোরকে গ্যাং কালচারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত করে সুস্থ ও সুন্দর জীবন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তৎপর রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য আবুল কালাম আজাদ। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়া অপরাধপ্রবণ ও বিপথগামী শিশু-কিশোরদের চিহ্নিত করে পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে। সুনির্দিষ্ট কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে যথোপযুক্ত আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিয়মিত টহল দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও অনলাইনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে সক্রিয় কিশোর গ্যাংগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে তাদের নিবৃত্ত করার কার্যক্রম চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাগণ শিশু-কিশোরদের মধ্যে অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য সভা-সমাবেশের আয়োজন করে থাকে।’

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের তরুণ ও যুবসমাজকে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক থেকে রক্ষার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণা বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থা ২০২২ সালে এক লাখ ৩১১টি মামলা দায়ের এবং এক লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় এনেছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০-কে যুগোপযোগী করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) প্রণয়ন করা হয়। এ আইনে মাদক অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তা ছাড়া মাদক কারবারের হোতা ও গডফাদারদের যথাযথ শাস্তির বিধান করে এ আইনে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের বিধানটি সংযুক্ত করা হয়। শুধু মাদক কারবারিই নয়, এ আইনে মাদক অপরাধের পৃষ্ঠপোষক, প্ররোচনাদানকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
এ আইনের যথাযথ প্রয়োগে সর্বমহল সোচ্চার হলে সমাজে মাদক অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতেও বাস্তবতার নিরিখে আইনটি সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জাবাবে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ১১৫টি দেশের ২০ হাজার ৯৮৮ নাগরিক ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্ট, শিল্প-কারখানা, এনজিও, আইএনজিও এবং বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছয় হাজার ৭৫ জন চাইনিজ নাগরিক ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৮৭৬ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন।’

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪০:২৬   ২১৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


গণমানুষের প্রতিবাদের মুখে, ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার
ইতিহাসের এই দিনে
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিয়ে কালো টাকা ছড়ানোর পথ বন্ধ করতে হবে
নতুন প্রযুক্তির ক্যাবলের চাহিদা বাড়বে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
জুলাই-আগস্টের শহীদরা আমাদেরকে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন : মির্জা ফখরুল
সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল: ফাওজুল কবির খান
গণতন্ত্র উত্তরণে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে : তারেক রহমান
সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ