গাজার নিরাপত্তার দায়িত্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চান বাইডেন

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » গাজার নিরাপত্তার দায়িত্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চান বাইডেন
রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩



গাজার নিরাপত্তার দায়িত্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চান বাইডেন

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে থাকা উচিত বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শনিবার শীর্ষ মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের এক অপ-এড (ব্যক্তিগত মন্তব্য) কলামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে, সংঘাত শেষ হওয়ার পরপর গাজায় ক্ষুধাসহ যেসব সংকট শুরু হবে— সেসব মোকাবিলার জন্য সম্পদ প্রস্তুত রাখা এবং গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।’

তবে এই অবস্থা সাময়িক। অপ-এড কলামে এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, অন্তবর্তী বা নির্দিষ্ট সময় পেরোনোর পর গাজার শাসনক্ষমতা পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন সরকারের কাছেই ন্যাস্ত করা হবে।

এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জনগণের দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা ও মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের (টু স্টেট সলিউশন) কোনো বিকল্প নেই। আমরা সবাই জানি যে টু স্টেট সলিউশন ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত পশ্চিম তীরের সরকারই একটি অখণ্ড ফিলিস্তিন শাসন করবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায়িত্বশীল থাকবে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে একটি সীমিত সময়ের জন্য।’

তিনি আরও লিখেছেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধকে অজুহাত হিসেবে ধরে নিয়ে যদি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীল এলাকার বাসিন্দাদের ওপর সহিংসতা অব্যাহত রাখা হয়, তাহলে ইসরায়েলের রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে তাতে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। সেই অভিযান এখনও চলছে।

হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনির্দিষ্ট কালের জন্য গাজা উপত্যকার সার্বিক নিরাপত্তা নিজের হাতে রাখতে চায় ইসরায়েল।

তার এই বক্তব্যের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছিলেন, যুদ্ধের পর গাজা প্রশাসন ও সার্বিক নিরপত্তার দায়িত্ব থাকবে পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি সরকারের হাতে।

তার প্রতিক্রিয়ায় সম্প্রতি ফের বেঞ্জামিন নেহানিয়াহু বলেন, গাজার সার্বিক প্রশাসন পরিচালনার মতো উপযুক্ত অবস্থায় এখন নেই পশ্চিম তীরের ক্ষমতাসীন সরকার। তাই নিজেদের ভৌগলিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্যই গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েলের হাতে থাকা উচিত।

শনিবার ওয়াশিংটন পোস্টে অপ-এড কলামের মাধ্যমে তার জবাব দিলেন বাইডেন।

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৬:২২   ১৫১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


কূটনৈতিক সমাধানই সর্বোত্তম : ইইউ প্রধান
ইসরাইলি ‘আগ্রাসন’ বন্ধে ইউরোপীয় শক্তির প্রতি ইরানের আহ্বান
আরও দুই মোসাদ এজেন্টকে গ্রেফতারের দাবি ইরানের
ইরানকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে পশ্চিমা তিন দেশ
ইসরায়েলে ইরানের হামলায় নিহত বেড়ে ১০, আহত ২ শতাধিক
ইসরায়েলকে শিগগির সংঘাত থামাতে বলল চীন
তেহরানে আবাসিক কমপ্লেক্সে ইসরাইলের হামলা, বহু হতাহত
ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত, ফলাফল হবে সুদূরপ্রসারী : চীন
ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধানসহ অন্তত ২০ জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত
যতদিন প্রয়োজন, ততদিন আক্রমণ অব্যাহত রাখবে ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ