নারী বিশ্বকাপে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন খেলোয়াড় অনলাইনে নাজেহালের শিকার হয়েছে

প্রথম পাতা » খেলাধুলা » নারী বিশ্বকাপে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন খেলোয়াড় অনলাইনে নাজেহালের শিকার হয়েছে
মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩



নারী বিশ্বকাপে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন খেলোয়াড় অনলাইনে নাজেহালের শিকার হয়েছে

এ বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে আয়োজিত নারী ফুটবল বিশ্বকাপে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন খেলোয়াড় অনলাইনে নাজেহালের শিকার হয়েছে বলে ফিফা ও ফিফপ্রোর এক সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
৫.১ মিলিয়ন পোস্ট ও এর সাথে সম্পৃক্ত কমেন্টসের ভিত্তিতে দেখা গেছে এবারের আসরে অংশ নেয়া ৬৯৭ জন খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে কেউ না কেউ এই শিকারে পরিনত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফা জানিয়েছে ১৫২ জন খেলোয়াড় বৈষম্যমূলক, অপমানজনক ও ও হুমকিমূলক বার্তা পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ বার্তা ছিল হোমোফোবিক কিংবা যৌন হয়রানীমূলক প্রকৃতির।
সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে গত বছর কাতারে অনুষ্ঠিত পুরুষ বিশ্বকাপের তুলনায় নারী বিশ্বকাপে ২৯ শতাংশ বেশী এই ধরনের হয়রানীমূলক বার্তা পেয়েছে খেলোয়ড়রা।
ফিফার সোশ্যাল মিডিয়া প্রটেকশন সার্ভিস (এসএমপিএস) থেকে এই তথ্যগুলো পাওয়া গেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার ব্যহকার করে এই সমস্ত হয়রানীমূলক পোস্টের তথ্য বের করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের কাছে বিশেষ একটি অপশন ছিল যার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন বার্তা মুছে দেবার ক্ষমতা রাখতো। এই পদ্ধতির আওতায় প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৮২০টি হয়রানীমূলক বার্তা হিডেন করে রাখা হয়েছিল।
এসএমপিএস ডাটা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নারী দলটি বিশ্বকাপ চলাকালীন সবচেয়ে বেশী এই নাজেহালের শিকার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের দলটি এই ধরনের হয়রানীর শিকার হয়ে আসছে। ফিফা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনার একজন করে খেলোয়াড়কে সবচেয়ে বেশী টার্গেট করা হয়েছে, তাদের নাম অবশ্য ফিফা প্রকাশ করেনি।
রিপোর্টে কলম্বিয়ান খেলোয়াড় লেইসি সান্তোসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে এই ধরনের বার্তা একজন খেলোয়াড়ের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সান্তোস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘একটি ম্যাচে পরাজয়ের পর একজন খেলোয়াড় ফুটবলে যদি কোন বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশী মানসিক যন্ত্রনা পেয়ে থাকে সেটা হলো এই ধরনের বাজে ও অপমানজনক কমেন্টস বা মন্তব্য। পেশাদার ফুটবলারের বাইরে আমরা সবাই মানুষ। কিছু কিছু খেলোয়াড় এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও অনেকেই তা পারেনা। এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, যে কারনে মানসিক ভাবে অনেকেই ভেঙ্গে পড়ে।’
ফিফা সভাপতি গিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে এই ধরনের নাজেহালের কোন ক্ষমা নেই। এক বিবৃতিতে ইনফান্তিনো বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা অন্যকোন ভাবে যেকোন খেলোয়াড়কে অপমান করার কোন অধিকার কারো নেই। এটা ফিফা টুর্নামেন্ট বা অন্য যেকোন টুর্ণামেন্টেই হোক না কেন।’
গত বছর প্রথমবারের মত এসএমপিএস পদ্ধতি চালু হবার পর থেকে খেলোয়াড়, দল, কর্মকর্তা মিলিয়ে চার লাখেরও বেশী এই ধরনের কমেন্টেসের শিকার হয়েছে। ইনফান্তিনো বলেছেন বৈষম্যের কোন স্থান ফুটবল বা সমাজে কোথাও নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫১:২২   ১৪৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

খেলাধুলা’র আরও খবর


শেষ মুহূর্তের গোলে এশিয়ার দলকে হারাল ইন্টার, ৭ গোলের থ্রিলারে জয় ডর্টমুন্ডের
পিছিয়ে পড়েও নাটকীয় জয় ফ্লুমিনেন্সের
নীলফামারীতে জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দুবার একই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন শান্ত
চেলসিকে হারিয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর ইতিহাস
ব্রাজিলের ক্লাবের কাছে ধরাশায়ী ইউসিএল চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
এশিয়ান কাপ আরচ্যারিতে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশের আলিফ
নাঈমের ঘূর্ণিতে ১০ রানের লিড পেল বাংলাদেশ
জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টকে আরও জনপ্রিয় করা হবে : যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা
গল টেস্টে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন মুশফিক

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ