টিআইবির কোটিপতির হিসাবে গরমিল, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » টিআইবির কোটিপতির হিসাবে গরমিল, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩



টিআইবির কোটিপতির হিসাবে গরমিল, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দেয়া কোটিপতির হিসাবে গরমিল আছে এবং তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গ্রামেও এক কাঠা জমির দাম ২০ লাখ টাকা, ৫ কাঠা জমির দাম ১ কোটি টাকা। আর ঢাকা শহরে ১ কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নাই। চট্টগ্রাম শহরেও নাই। সুতরাং এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নাই। তাদের এই হিসাব ধরে যদি কোটিপতি গোনা হয় তাহলে সেই হিসাবে গরমিল আছে এবং সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে টিআইবির খুব বড় গলা ছিল, প্রচুর প্রেস কনফারেন্স করেছে, বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছে। পরে দেখা গেল যে, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি তো হয়ই নাই, এর কোনো সুযোগও সৃষ্টি হয় নাই; কারণ, টাকা ছাড়া দুর্নীতি হয় কীভাবে। তারা নানা সময়ে নানা গবেষণা করে, পরে দেখা যায় সেগুলো আসলে গবেষণা নয়, কতগুলো রিপোর্ট। নিজেদের ইচ্ছামতো বা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।

‘জনগণ ও বিদেশিরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে’- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের জবাবে ডা. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে এখন নির্বাচনী উৎসাহ-উদ্দীপনা। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে। নির্বাচন যদি প্রত্যাখ্যান করতো, তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র অবজারভার পাঠাতো না, ওআইসি, সার্কভুক্ত দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশ অবজারভার পাঠাতো না। তাদের ভোটে আগ্রহ আছে এবং এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে বিধায় তারা অবজারভার পাঠাচ্ছে। রুহুল কবির রিজভীসহ গুটিকয়েক নেতা হয়তো নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কর্মী-সমর্থকরাও সবাই প্রত্যাখ্যান করে নাই, তাদের সমর্থকরা ভোট দিতে যাবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। ভারতের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু আদায় করেছি। ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে আমাদের ছিটমহল বিনিময়ের চুক্তি হয়েছিল, সেটি কার্যকর ছিল না, শেখ হাসিনা কার্যকর করেছেন। আমরা আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা করে ভারতের কাছ থেকে বিপুল সমুদ্রসীমা আদায় করেছি। সমুদ্রে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ একটি অঞ্চল আমাদের অধিকারে এসেছে।

‘ভারতের সঙ্গে সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। সীমান্তে লাখ লাখ মানুষের কোনো পরিচয় ছিল না, তারা এখন পরিচয় পেয়েছে। শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভবপর হয়েছে। সমগ্র ভারতে এখন বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখা যায়। এভাবে বহুকিছু অর্জন হয়েছে। অঙ্গরাজ্য হলে তো বহু আগে হয়ে যেতো,’ বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৭:১৩   ১৮২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আল কোরআন ও আল হাদিস
অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো কাজ করতে হবে: আমীর খসরু
কালশীতে ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় হামেশা ফুডের এমডি গ্রেপ্তার
শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ নবম গ্রেডসহ ৪-৬ স্তরের পদসোপান দাবি
বিএনপির নেতৃত্বে দেশে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে : এ্যানি
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় একসাথে কাজ করার আহ্বান মাসুদুজ্জামানের
মুসল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটাচ্ছেন ডিসি
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ : ডা. জাহিদ
মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না : মির্জা আব্বাস

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ