সমুদ্রসীমার অধিকার প্রতিষ্ঠায় কেউ উদ্যোগ নেয়নি: শেখ হাসিনা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সমুদ্রসীমার অধিকার প্রতিষ্ঠায় কেউ উদ্যোগ নেয়নি: শেখ হাসিনা
বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪



---

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশাল সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠায় কেউ কোনো রকম উদ্যোগ নেয়নি। যেটা আমরা নিয়েছে। মূলত দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতির পিতা প্রণীত ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’-এর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সরকারগুলো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জাতির পিতা যেখানে রেখে গিয়েছিলেন, সেখানেই পড়েছিল। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। সে নীতি নিয়েই আমরা কাজ করি। পাশাপাশি আমাদের অধিকার যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন,

বঙ্গবন্ধু শুধু একটি রাষ্ট্রই দিয়ে যাননি, একই সাথে নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্যিক যোগাযোগ ও সমুদ্রসীমার গুরুত্ব নিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’ প্রণয়ন করে গেছেন। তখনও কিন্তু জাতিসংঘ এ ধরনের আইন বা নীতিমালা করেনি।

বিশাল সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের কোনো অধিকার ছিল না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,

১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে, যারা ক্ষমতায় এসেছিল, ২১টা বছর তারা সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কোনো কথা বলেনি। অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা কোনো সরকার, বিশাল সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোনো রকম উদ্যোগও নেয়নি। শুধু সমুদ্রসীমা নয়, স্থলসীমা চুক্তিও তিনি (বঙ্গবন্ধু) করে গেছেন। পরবর্তীতে সেটা আর কার্যকর করা হয়নি। পরবর্তীতে আমরা যখন সরকারে আসি, সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করি। তবে কাজগুলো করা হয় খুব গোপনীয়তার সঙ্গে।

তিনি আরও বলেন, সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তিতে আমরা ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করলেও পরবর্তী সরকার আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ৮ বছর সময় নষ্ট করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসার পর অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমুদ্রসীমা জয় করে। আমরা যে, সম্ভাবনাময় সুবিশাল অর্থনৈতিক এলাকা পেলাম, যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।

শেখ হাসিনা বলেন,

ভারত মহাসাগরের ভেতরেই আমাদের বঙ্গোপসাগর। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে বিশ্বের সকল ব্যবসা বাণিজ্য চলমান, এই সামুদ্রিক পথ সকল দেশ সমানভাবে ব্যবহার করছে, কোনোদিন কোনো রকম দ্বন্দ্ব এ অঞ্চলে হয়নি। আমরা সব সময় এটাই চাইব, এ অঞ্চলে যে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে, সেটা যেন সংঘাতপূর্ণ না হয়, শান্তিপূর্ণ বাণিজ্য পথ হিসেবেই চলমান থাকবে।

তিনি বলেন, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি করি। আজ বিশাল সমুদ্রসীমার অধিকার রয়েছে, আমরা সম্ভাবনাময় একটা বিশাল অর্থনৈতিক এলাকা পেয়েছি। বিশাল সমুদ্রসীমার যথাযথ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।

বর্তমানে বিশ্বের অনেক জায়গায় যুদ্ধ, সংঘাত চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,

বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে, যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। কারণ শান্তিই প্রগতি দেখায়। আমরা যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। সে নীতি নিয়েই আমরা কাজ করি। পাশাপাশি আমাদের অধিকার যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে উদ্যোগ নিয়েছি।

সমুদ্রের তলদেশ থেকে তেল-গ্যাস উত্তোলনে আলাপ-আলোচনা চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক টেন্ডারও দিয়েছি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে-এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারাই বিনিয়োগ করবেন, তারা লাভবান হবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:০২:৫০   ১৬৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


রাজধানীর সাতরাস্তা অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
মাহমুদুর রহমানকে জেরা করছেন শেখ হাসিনার পক্ষের আইনজীবী
ভারত-চীনের ওপর ১০০ শতাংশ করারোপে ইউরোপকে উস্কাচ্ছেন ট্রাম্প
ইতিহাসের এই দিনে
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
কিংবদন্তি অভিনেতা রবার্ট রেডফোর্ড আর নেই
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে ভারতীয় হাইকমিশনারের সংবর্ধনা
নারায়ণগঞ্জের মানুষ অতিথিপরায়ণ, সমৃদ্ধ কালচার: মাসুদুজ্জামান
পূজাকে ঘিরে সকল সম্প্রদায় একত্রিত হয়েছে: ডিসি

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ