গাজায় যুদ্ধবিরতি আসবে আগামী সপ্তাহেই, আশা বাইডেনের

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » গাজায় যুদ্ধবিরতি আসবে আগামী সপ্তাহেই, আশা বাইডেনের
মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪



গাজায় যুদ্ধবিরতি আসবে আগামী সপ্তাহেই, আশা বাইডেনের

গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আগামী সপ্তাহেই আসতে পারে বলে আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার দেশটির নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

জো বাইডেন বলেন, ‘আমার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা আমাকে জানিয়েছে যে আমরা গাজায় পরবর্তী একটি যুদ্ধবিরতির বেশ কাছাকাছি রয়েছি। আশা করছি আগামী সোমবারের মধ্যেই (যুদ্ধবিরতির) ঘোষণা আসবে।’

গত সপ্তাহে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈঠক করেছেন ইসরায়েল, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। সেই বৈঠক শেষে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মিসর ও কাতারের কর্মকর্তারা।

সেই আলোচনার সূত্র ধরে সম্প্রতি মিসরের একাধিক সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি জানিয়েছে, আসন্ন রমজান মাসের আগেই গাজায় দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে।

আগামী মার্চের ১১ কিংবা ১২ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে চলতি বছরের রমজান মাস।

গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে প্রথম বিরতিটি ছিল গত নভেম্বরের ২৫ তারিখ থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে যায়। অভূতপূর্ব সেই হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর প্রায় এক মাস পর গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তুলেছিল রাশিয়া; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাতে ভেটো বা আপত্তির কারণে তা পাস হতে পারেনি।

তারপর আরও দু’দফায় নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ওঠার পর গত নভেম্বরে অস্থায়ী মানবিক বিরতিতে সম্মত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। মূলত কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই সম্ভব হয়েছিল এই বিরতি। সে সময় নিজেদের কব্জায় থাকা ২ শতাধিক জিম্মির মধ্যে অর্ধেক জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছিল হামাস, বিনিময়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারগারে বন্দি দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েলও।

২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া সেই বিরতির পর ফের যুদ্ধ শুরু হয় ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে। তবে হামাসের হাতে এখনও শতাধিক জিম্মি রয়েছে। এই জিম্মিদের মুক্ত করতেই পরবর্তী যুদ্ধবিরতির জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার।

সূত্র : বিবিসি, এএফপি

বাংলাদেশ সময়: ১২:০৮:০২   ১৭৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


পাকিস্তানে পুলিশের গাড়িতে অতর্কিত হামলা, নিহত ৫
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ
ইন্দোনেশিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৬
কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
নতুন আরেক মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রীর ১৭ বছরের কারাদণ্ড
মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদ্‌যাপন
ইউক্রেনকে ৯০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে ইইউ
সুদানের করদোফানে আরএসএফের হামলায় নিহত ১৬
আগামী বছর ফিজিতে দূতাবাস খুলবে ইসরায়েল
সিরিয়ার ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো যুক্তরাষ্ট্র

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ