নারীদের রোজার বিধান

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নারীদের রোজার বিধান
শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪



নারীদের রোজার বিধান

নারী-পুরুষ সবার জন্য রোজার বিধান। তবে ইসলাম ব্যক্তির সুস্থতা-অসুস্থতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। সে হিসেবে রোজা পালনে নিয়মসাপেক্ষে সুযোগ-সুবিধাও রেখেছে। রমজানে রোজা পালনে নারীদের বিভিন্ন রকমের নিয়ম-বিধান রয়েছে। সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

রোজা রাখার পর দিনের বেলা পিরিয়ড শুরু হলে নারীর রোজা ভেঙে যায়। এমন নারীর জন্য খাওয়া-দাওয়া করা বৈধ। তবে ওই দিন সম্ভব হলে রোজাদারদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। (ফাতাওয়া হক্কানিয়া : ৪/১৯০)

কোনো নারীর যদি ফজরের আগেই পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়, ওই নারীর জন্য দিনের বেলা খাওয়া-দাওয়া করা বৈধ। তবে গোপনে পানাহার করা উচিত। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪২৮)

পিরিয়ডের কারণে রোজা না রেখে দিন শুরু করার পর পিরিয়ড বন্ধ হলে দিনের বাকি অংশ রোজাদারদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে পানাহার বর্জন করতে হবে। কিন্তু এ দিনের রোজাও পরে কাজা করে নিতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪২৮; বাহুরুর রায়েক : ২/২৯১)

রোজা অবস্থায় শিশুকে দুধ পান করালে রোজা ভঙ্গ হয় না। (ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৬/৪০৮)

নেফাজওয়ালা (সন্তান প্রসবকারী) নারী যদি ৪০ দিন হওয়ার আগেই পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে রোজা রাখবে। তবে নামাজের জন্য গোসল করে নেবে। আর যদি ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও রক্ত চলমান থাকে, তাহলে সে রোজা রাখবে না ও গোসল করে নেবে। কেননা তার রক্ত ইস্তেহাজা (রোগ) হিসেবে গণ্য করা হবে। (বেহেশতি জেওর : পৃষ্ঠা : ১৬০, শরহে বেকায়া : খ.১, পৃষ্ঠা : ১২০)

অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে রোজা পালনে নিষেধ করে থাকেন, তাহলে ওই নারীর জন্য রোজা না রাখার অবকাশ আছে। সন্তান প্রসবের পর সুস্থতা লাভ করলে এই রোজা কাজা করে নিতে হবে। এর জন্য কাফফারা আদায় করতে হবে না।

নারীদের অপবিত্র থাকার সময়ে নামাজ পড়া, রোজা রাখা, কোরআন তিলাওয়াত ও মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ, যেভাবে তা অপবিত্র পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ। কিন্তু তারা বিভিন্ন দোয়া-দরুদ, তাসবিহ-তাহলিল ও জিকির-আসকার করতে পারবেন। এমনকি দোয়া হিসেবে আয়াতুল কুরসি ও কোরআনের বিভিন্ন আয়াত পাঠ করা যাবে। এতে সাওয়াব পাওয়া যাবে, নিরাপত্তাও লাভ হবে।

পারিবারিক ও সামাজিক কারণে আমাদের দেশের নারীরা রমজানে কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন। বিশেষত সাহরি ও ইফতারের প্রস্তুতির ভার তাদেরই বহন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে পুরুষের উচিত নারীদের যথাসম্ভব সহায়তা করা। কেননা পরিবার নারী-পুরুষ সবার। নারীরাও রোজা রাখেন। কাজেই তাদের ওপর অতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া অনুচিত। মহানবী (সা.) গৃহস্থালি কাজে তার স্ত্রীদের সাহায্য করতেন। তার জীবন ইমানদারদের জন্য উত্তম আদর্শ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৭:২১   ৫৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ইতিহাসের এই দিনে
আজকের রাশিফল
অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা
চমক নিয়ে আসছে ‘মির্জাপুর ৪’
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা সুবিধা কারা পাবে জানতে রিভিউ করা হবে’
পুলিশ হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেফতার ৬
নারায়ণগঞ্জে নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো জঙ্গি জুয়েল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
সরকারকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ