বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ও কিছু প্রশ্ন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ও কিছু প্রশ্ন
মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪



বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ও কিছু প্রশ্ন

উচ্চ আদালতের নির্দেশে সমাধান হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি প্রসঙ্গ। তারপরও থেকে গেছে কিছু প্রশ্ন। ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে যারা, তারা কেন উগ্রবাদ নিয়ে কথা বলেন না? তবে কি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীই রাজনীতি বন্ধের নামে নিজেদের ফায়দা হাসিল করতে চায়?

উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে বুয়েটের চলমান সংকট ও বিতর্কের আপাতত অবসান হলেও রাজনীতিবিমুখ আন্দোলন জন্ম দিয়ে গেছে বেশ কিছু প্রশ্নের। শান্তশিষ্ট ক্যাম্পাস হঠাৎ করেই কেন ফুঁসে উঠলো আন্দোলনের আগুনে? আবার কাগজে-কলমে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলা হলেও কেমন করে চলে উগ্রবাদিতার আস্ফালন?

ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)। অভিযোগ, গভীর রাতে বন্ধ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েছে ছাত্রলীগ। খবরটি কোনো গণমাধ্যমের নয়। ঘটনা চাউর হয় ‘বুয়েট সাংবাদিক সমিতি’ নামক এইটি ফেসবুক পেইজ থেকে, যার ক্যাপশন: ‘রাতের অন্ধকারে বুয়েট ক্যাম্পাসে দলীয় প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করল ছাত্রলীগ।’

প্রশ্ন ওঠে, বুয়েট সাংবাদিক সমিতির সদস্য কারা? এর উত্তর খুঁজতে হলে ফিরতে হবে এক বছর পেছনে। ২০২৩ সালের জুলাই। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড় থেকে গ্রেফতার হন ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীসহ ৩৪ জন। রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতার ওই ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজন বুয়েট সাংবাদিক সমতির পদধারী নেতা। উগ্রপন্থি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমনকি সাধারণ শিক্ষার্থী কারও কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

সাম্প্রতিক আন্দোলনের সূত্রপাত ও পেছনের কুশীলবদের কর্মকাণ্ডই বলে দেয়, কাগজে-কলমে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ বলা হলেও বুয়েটে ঠিকই গোপনে গোপনে চলতো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। উগ্রপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর ঘরেই যেত এর ফায়দা। প্রশ্নটির জন্ম দিয়েছে রাজনীতিবিমুখ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে।

কেননা সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন, আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও বুয়েটের দেয়ালে দেয়ালে কিউআর কোড সংবলিত নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুত তাহরীরের পোস্টার সাঁটানো হলেও কেন হয় না কোনো প্রতিবাদ? এমনকি হাওড়ে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়েও প্রশাসন কিংবা সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিশ্চুপ। এই প্রশ্ন সামনে এলে অপপ্রচার বলে এড়িয়ে যান তথাকথিত আন্দোলনকারীরা।

তারা বলেন,

কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিবিরের সঙ্গে কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠেছে। কিন্তু সেই ঘটনাটি বুয়েটের বাইরে হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ওই ঘটনার বিষয়ে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ নেই।

আবার ২০১৯ সালে এক শিক্ষার্থীর নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় পুরো ক্যম্পাস ফুঁসে উঠলেও ২০১৩ সালে হেফাজতকর্মীদের হাতে আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে কেন প্রতিবাদের ঝড় উঠলো না সেখানে?

ব্যতিক্রম নন প্রগতিশীল দাবি করা শিক্ষার্থীরাও। কেননা, কেবল পরিস্থিতি নিজেদের প্রতিকূলে গেলেই সোচ্চার হন তারা। উঠে আসে ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক উগ্রপন্থিদের অবস্থানের অভিযোগ। প্রশ্ন ওঠে, এতদিন তবে কি ঘুমিয়ে ছিল গ্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা?

বাংলাদেশ সময়: ১২:৩২:৪২   ২৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির ১ম বৈঠক অনুষ্ঠিত
আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
চুরির ঘটনা ডিবিকে জানান, ছায়া তদন্ত করা হবে: ডিবিপ্রধান
প্রকল্পের টাকা নয়ছয় ইউপি চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: পিএসজিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ
বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুলিশ মোতায়েন

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ