অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যেন অর্থের অভাবে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি প্রদান করা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান মন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন এমপি আবদুল লতিফ।
আ, ক, ম, মোজাম্মেল হক জানান, দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যেন অর্থের অভাবে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি’র অর্থ উপকারভোগী শিক্ষার্থী কর্তৃক কোনো প্রকার ক্যাশ আউট চার্জ প্রদান ছাড়াই সরাসরি উপকারভোগী শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে মোবাইল ব্যাংকিং ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষ বা অর্থবছরে উপবৃত্তি বাবদ এখনো কোনো অর্থ বিতরণ করা হয়নি। চলতি অর্থবছরের উপবৃত্তির অর্থ চলতি জুন মাসে বিতরণ করা হবে।
তিনি জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ৫৯ লাখ ৬২ হাজার জন শিক্ষার্থীর মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বাবদ ২ হাজার ৫৮ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার ৭২০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ অর্থবছরে ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক পর্যায়ে ৬০ লাখ ৭১ হাজার জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বাবদ ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৬৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা থেকে ১ লাখ ৯ হাজার জন বেশি এবং গত বছরে বিতরণকৃত টাকার পরিমাণ থেকে ২২৮ কোটি ৮ লাখ ৯৪ হাজার ২৮০ টাকা বেশি।
এমপি মোশতাক আহমেদ রুহীর এক প্রশ্নের জবাবে আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশে ২৭টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মোট ৭ লাখ ৪০ হাজার ৬৩০ জন মানুষ আছে। দেশের সমতলে বসবাসরত এ সব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে “বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত)” শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির সম্পৃক্ততায় গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধমে উপকারভোগী নির্বাচন, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।
তিনি জানান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা, কেন্দ্র থেকে উপজেলার দূরত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চাহিদা ইত্যাদিকে বরাদ্দ সংস্থানের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৯:০৫ ৭০ বার পঠিত