কুয়াকাটায় প্লাস্টিক দূষনের ভয়াবহতা চরমে

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » কুয়াকাটায় প্লাস্টিক দূষনের ভয়াবহতা চরমে
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪



কুয়াকাটায় প্লাস্টিক  দূষনের ভয়াবহতা চরমে

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। সাগরতীরের এই জনপথ সাগরের অবারিত সৌন্দর্যের কারণে সাগরকন্যা নামেও পরিচিত। গবেষণা অনুযায়ী এখানে রয়েছে বিপন্ন প্রজাতির নানান প্রাণী বিদ্যামান। আছে সংকটাপন্ন প্রাণীর সমাহারও। এছাড়া রয়েছে সমুদ্র সৈকত জুড়ে বিচিত্র প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণীর বসবাস।

দুঃখ জনক হলেও এটা সত্যি, এই জীব বৈচিত্র্যের এক বড় অংশ আজ হারিয়ে গিয়েছে এই কুয়াকাটা থেকে। ক্রমবর্ধমান মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, অসচেতন ভাবে পর্যটকদের আনাগোনা আর দূষনে জর্জরিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করছে প্লাস্টিকের দূষণ।

কুয়াকাটায় প্লাস্টিক দূষনের ভয়াবহতা নিরূপণ এবং মানুষের মনে জনসচেতনতা তৈরীতে পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধকরণে দক্ষিণ অঞ্চলে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে দূষণ সৃষ্টিকারী প্লাস্টিক অপসারণ করলো শিক্ষার্থীরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্লাস্টিক দূষনের ভয়াবহতা এতটাই বেশি আড়াই ঘন্টায় ছয় কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত থেকে ৩২৩ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য উদ্ধার।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতেরর ৬ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্ট শিক্ষার্থীরা প্লাস্টিক পরিষ্কার অভিযান চালিয়ে আড়াই ঘন্টায় সর্বমোট ৩২৩ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ফুড প্লাস্টিক (রাপ্যার), পলিথিন, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক প্রোডাক্ট, বোতল, সিগারেট প্যাকেট, পরিত্যাক্ত মাছের জাল, পসাধনী প্রোডাক্ট, ই-বর্জ্য অন্যতম।
আয়োজন টি করে, পরিবেশ অধিদপ্তর, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সহোযোগিতায় প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস, সিইজিআইএস।
ইয়ুথনেট বরিশাল, ও এ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালী নামক সেচ্ছাসেবী সংগঠন এতে যুক্ত হয়। এতে মোট ৩০ জন অংশগ্রহণ করেন। কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান গুলো খুব বেশি মাত্রয় আক্রান্ত এই প্লাস্টিক দূষনে। বিশেষ করে গঙ্গামতির চর, সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্ট, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের সম্মুখ দিক।
সব থেকে বেশি পাওয়া প্লাস্টিকের মধ্যে ছিলো খাদ্য দ্রব্যের সাথে সংশ্লিষ্ট প্লাস্টিক, যেমন চানাচুরের, চিপস, বিস্কুটের প্যাকেট ও পানীয় এর বোতল।

স্থানীয় জনগন জানায়, পর্যটক রা অসচেতনতা বসত এই প্লাস্টিক গুলোকে সী বীচে ফালায়। আর দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাসগত বিষয়গুলোর কারণে সমুদ্র সৈকত ভয়াবহ দূষিত।
তবে, এত বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের উপস্থিতি প্লাস্টিক দূষনের ভয়াবহতার তীব্রতা প্রকাশ করে সমুদ্র সৈকতে।
এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আরও
বেশি ভয়াবহতার মধ্যে পড়বো।
আয়োজনে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব ও পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণবিদ, আশিকুর রহমান সমী।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন, মো. জুবায়ের, আব্দুল হালিম মির্জা, দিপ্ত বিশ্বাস, মো. রাকিব হাসান, মো. নূর উদ্দীন, মো. রাজিব মিয়া।
আয়োজনে সমুদ্র সৈকেতে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, পর্যটক সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৩:৩৬   ১৭৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আল কোরআন ও আল হাদিস
আজকের রাশিফল
জামালপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭৮তম বুনিয়াদি কোর্সের সমাপনী
দেশের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে হবে, রাজপথে কর্মসূচি অহেতুক চাপ: মির্জা ফখরুল
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে চালকসহ আহত ৫
নারায়ণগঞ্জে রেলস্টেশনে অভিযানে ৯ জনকে কারাদণ্ড, আটক ১৮
পূজা উদযাপনে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস নাসিক প্রশাসকের
নেপালের জালে বাংলাদেশের ৪ গোল
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের বৈঠক
বন্দরে টাইফয়েড ক্যাম্পেইন বিষয়ক সমন্বয় সভা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ