বেক্সিমকোর ৪০ শতাংশ শ্রমিকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » বেক্সিমকোর ৪০ শতাংশ শ্রমিকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি : বাণিজ্য উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫



বেক্সিমকোর ৪০ শতাংশ শ্রমিকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বেক্সিমকোর ৪০ হাজার শ্রমিকের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে তার প্রায় ৪০ শতাংশের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

তিনি বলেন, বলা হচ্ছে বেক্সিমকোতে ৪০ হাজার শ্রমিক রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে আমরা এর প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষের অস্তিত্ব পাইনি। অনেক তথ্য তৈরি করা হচ্ছে উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে।

সেই সঙ্গে বেক্সিমকোর একটি হাউজিং প্রকল্পে আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘আমার বন্ড’ ছেড়ে তোলা চার হাজার কোটি টাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মাত্র তিন মাস আগে তোলা সেই চার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? এটা একটা অবাক করা বিষয়- টাকা কোথায়?

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকোর কর্মীদের ব্যাংকঋণ চাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, একটা প্রতিষ্ঠানের যদি সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা চলতি সম্পদ থাকে, তার ৬০ কোটি বেতন দেওয়া তো একটা সেকেন্ডের ব্যাপার।

তিনি বলেন, যে দাবি জানানো হচ্ছিল যে ব্যাংক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না, এলসি খুলে দেওয়া হচ্ছে না, যে প্রতিষ্ঠানের সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা চলতি সম্পদ তার তো এলসি খোলাও লাগে না, আর ব্যাংকের সুবিধারও প্রয়োজন হওয়ার কথা নয়।

তিনি আরো বলেন, আমি প্রথমে জেনেছিলাম যে তাদের ২৩ হাজার কোটি টাকার দায় রয়েছে। পরে জানলাম তাদের প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দায় রয়েছে। ২৩ হাজার কোটি টাকার দায় ধরে নিয়েই চেষ্টা করেছিলাম যে প্রতিষ্ঠানটা কোনো রকমে যাতে চালু হয়।
সরকার খুবই দায়িত্বশীল ছিল এটি চালুর জন্য। কারণ এটা একটা জাতীয় সম্পদ এখানে বহু সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত।

‘দেশের রপ্তানি আয়ের একটা প্রাসঙ্গিক বিষয় রয়েছে। তাই সরকার যথেষ্ট উদার ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে এ বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের (বেক্সিমকো) পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা পায়নি।
তখন সরকার বাধ্য হয়ে এখানে প্রশাসক নিয়োগ করেছে। প্রশাসককে কোনো ধরনের সাহায্য করা হয়নি। বলা হয়েছে, আইনজীবীর নিষেধ আছে কোনো ধরনের তথ্য শেয়ার না করার জন্য’ বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০০:৪৬   ১৫২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


পরবর্তী মুদ্রানীতিতে ঋণের সুদের হার একক ডিজিট নির্ধারণের আশ্বাস গভর্নরের
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪.৮ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক
দেশের অর্থনীতি স্বস্তিতে আছে : অর্থ উপদেষ্টা
স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড, ভরি ছাড়াল ২ লাখ টাকা
ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডির চরম সংকট : গভর্নর
পূজায় টানা ৬ দিন বন্ধ ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি
চীনা রাষ্ট্রদূতের সাথে ডাকসু নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ
পুঁজিবাজার থেকে সবসময় মুনাফা আসবে এমন ভাবা ভুল : অর্থ উপদেষ্টা
জাহাজ আমদানিতে ভ্যাট মওকুফ বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির পর চলে যেতে হবে, মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই - অর্থ উপদেষ্টা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ