
পাকিস্তানে ভারতের সাম্প্রতিক হামলায় তাদের ১১ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৮ জন। এছাড়া ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরের’ আঘাতে সাত নারী ও ১৫ শিশুসহ ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান।
সোমবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ভারতের হামলা থেকে পাকিস্তানকে রক্ষা করার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ওই ১১ সদস্য নিহত হন।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শহীদদের মধ্যে রয়েছেন নায়েক আবদুল রেহমান, ল্যান্স নায়েক দিলাওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইকরামুল্লা, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাহী মুহাম্মদ আদিল আকবর এবং সিপাহী নিসার।
অন্যদিকে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর যারা শহীদ হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, চিফ টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুক এবং সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শহীদদের মহৎ আত্মত্যাগ সাহস, নিষ্ঠা এবং অটল দেশপ্রেমের এক স্থায়ী প্রতীক। যা জাতির স্মৃতিতে চিরকাল খোদাই করা থাকবে।’
এছাড়া বলঅ হয়, ‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে আবারও চ্যালেঞ্জ করার যে কোনো প্রচেষ্টা হলে তার দ্রুত, পূর্ণ-পরিসরে এবং সিদ্ধান্তমূলক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’
২২ এপ্রিল জম্মু কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা শুরু হয়।
হামলার সাথে পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ইসলামাবাদে সামরিক হামলা চালায় ভারত। এরপর পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস নামে একটি বৃহৎ পরিসরে প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান শুরু করে।
চারদিনের তীব্র সংঘাতের পর শনিবার (১০ মে) যুদ্ধবিরতি হয় ভারত-পাকিস্তানের।
সূত্র: ডন
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৪:৩৮ ৬ বার পঠিত