
এই মুহূর্তে ফুটবল বিশ্বে কার্লো আনচেলত্তির চেয়ে যোগ্য কেউ নেই, যার হাতে ব্রাজিল দলকে তুলে দেয়া যায়। তার অভিজ্ঞতা ব্রাজিল ফুটবলকে শিরোপা জয়ে সাহায্য করবে। তিনি সেলেসাওদের গৌরবান্বিত অতীত ফিরিয়ে আনবেন বলেই বিশ্বাস ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক দুঙ্গার। একই মত ২০১০ বিশ্বকাপ দলের সদস্য ফিলিপে মেলোরও। তবে, ব্রাজিল ফুটবলের কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হলে শুরু থেকেই আনচেলত্তিকে কিছুটা কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ১৯৯৪ এর বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য মাউরো সিলভা।
ব্রাজিল ফুটবলে কার্লো আনচেলত্তি। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো যোগ দেননি। আর মাত্র ১০ দিন পরেই অবশ্য তার পা পড়বে রিও ডি জেনেইরোতে। এসবই পুরান খবর। কার্লো নিজেও এই নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফেলেছেন। কিন্তু তারপরও যেন রেশ কাটছে না এ ঘটনার।
কারণ, বিষয়টা যে এখনো অবিশ্বাস্য ঠেকেছে খোদ ব্রাজিলিয়ানদের কাছেই। ১০২ বছরে যা কখনো হয়নি, তা যে এবার কীভাবে ঘটালো সিবিএফ, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন সাধারণ সমর্থক থেকে শুরু করে সেলেসাও গ্রেটরাও। সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের। কারণটাও পরিস্কার, ইউরোপিয়ান বড় ৫ লিগের সবকটিতেই শিরোপা জেতা একমাত্র কোচ যখন দায়িত্বে আসছেন সাম্বা ফুটবলের, তখন তা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলবে এমন লোক কই ?
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কার্লোর এই নতুন চাকরি নিয়ে কথা বলেছেন তিন ব্রাজিলিয়ান। যাদের একজনকে বাদ দেয়া গেলেও, অন্য দুজন নিজেদের সময়কার কিংবদন্তি। দুঙ্গা, ফিলিপ্পে মেলো এবং মাউরো সিলভা। এর মধ্যে মেলোর বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা না থাকলেও, সিলভা আর দুঙ্গার পরিচয় আছে সে আনন্দের সঙ্গে। সিলভারটা কিছুটা পুরানো হলেও হতে পারে, কিন্তু দুঙ্গা তো জিতেছেন ব্রাজিলের হয়ে সেই বিশ্বকাপটা যা দিয়ে সবার থেকে এখন আলাদা সেলেসাওরা। হলুদ সমর্থকদের গর্বের পাঁচ নম্বর বিশ্বকাপ।
কিন্তু সেটা তো ২০০২ এর কথা। এরপর ২৩ বছরের ক্ষুধার্ত ব্রাজিল শিবির। দুঙ্গা আর মেলোর বিশ্বাস এবার কাটবে সেই খরা।
সাক্ষাৎকারে ফিলিপে মেলো বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। আমার বিশ্বাস ব্রাজিলে এমন একজনকেও পাওয়া যাবে না, যারা আনচেলত্তির আগমনে খুশি নন। তিনি পৃথিবীর সেরা কোচ। ব্রাজিল দলে তাকে পাওয়া যাবে, এটা অবিশ্বাস্য।’
দুঙ্গা বলেন, ‘আমরা শেষ তিন বছরে চার জন কোচ বদলেছি। কিন্তু কোনো কিছুই আমাদের পক্ষে কাজ করেনি। আমার মনে হয় কার্লোকে নিয়ে আসাটা সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্রাজিলকে কেউ যদি ফল এনে দিতে পারে, সেটা একমাত্র কার্লো আনচেলত্তি। আমাদের সবার উচিত তাকে পূর্ণ সহযোগিতা দেয়া।
১৯৯৪ এর বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য মাউরো সিলভা। কার্লোর যোগদানের খবর যার আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। নিজের দেশের বর্তমান ফুটবল কাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট না হলেও, কার্লোর প্রতি অগাধ আস্থা তার।
মাউরো সিলভা বলেন, ‘এটা ব্রাজিল ফুটবলের জন্য একটা দারুণ সময়। আনচেলত্তি ফুটবলের জন্য পুরো বিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছেন। তার অভিজ্ঞতা অন্য যে কারোর চেয়ে আলাদা। ফুটবল নিয়ে তার জ্ঞান অবশ্যই আমাদের কাজে লাগবে। আমি আশা করি তিনি এখানেও সফলতা পাবেন।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বর্তমানে ৪ নম্বরে আছে ব্রাজিল। বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে সেরা ৬ এর মধ্যে থাকতে হবে সেলেসাওদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৮:২৯ ৮ বার পঠিত