
ক্রিকেট দলীয় খেলা হলেও কখনো কখনো একজনই প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে যথেষ্ট। আজ হারারেতে তেমনি রুদ্রমূর্তি দেখালেন রিজান হোসেন। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশকে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই অলরাউন্ডার।
রিজানের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে টুর্নামেন্টের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
তাতে টুর্নামেন্টে টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে যুবারা। হারারেতে আজ যখনই বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ তখনই ত্রাণকর্তা হয়ে হাজির হয়েছেন রিজান।
ফাইনালে ২৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিংয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার জরিক ফন স্কাইলভেইক ও আদানান লাগাদিয়েন।
তাদের জুটি ভাঙতে যখন মরিয়া বাংলাদেশ তখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন পেসার আল ফাহাদ। ৪০ রান করা লাগাদিয়েনকে বাংলাদেশের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের ক্যাচ বানান আল ফাহাদ।
সতীর্থর বিদায়ের ৭ রানের মাথায় স্কালভেইকেও (১৯) ফেরান ফাহাদ। দুই ওপেনারকে ফিরিয়েও স্বস্তিতে ছিল না বাংলাদেশ।
কেননা তৃতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতেছিলেন মোহাম্মেদ বুলবুলিয়া ও জ্যাসন রোয়েলস। সেই জুটি ভাঙতে এগিয়ে আসেন পেসার রিজান। প্রোটিয়াদের পরের ব্যাটারকেও ফেরান তিনি।
মাঝে স্বাধীন ইসলাম (২) উইকেট উদযাপনে যোগ দেন। আর শেষটা রিজানই করেন।
একে একে শেষ তিন উইকেট তুলে নিয়ে। তাতে যুব পর্যায়ের ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন এই অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করতে রান খরচ করেছেন ৩৪। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ফাহাদ। এতে ২৩৬ রানে অলাআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা ছিলেন রিজান। তবে আফসোস নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৫ রানের জন্য যে যুব ক্রিকেটের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি পাননি তিনি। রান আউট হওয়ার আগে ১০ চারে ৯৫ রান করেন। তার এই ইনিংসের আগে ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিংয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা কালাম সিদ্দিকীকে (৬৫) সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১১৭ রানে জুটি গড়েন। এতে বড় রানের ভিত পায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে অবশ্য ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ে অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহও।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৯:০১ ৭ বার পঠিত