
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের দুই বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে-এ দুটি বিষয় হচ্ছে আস্থা ভোট ও অর্থ বিল। এই দুই বিষয় বাদে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন,
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসা গেছে। সংসদীয় চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ আসনসংখ্যার ভিত্তিতে বিরোধীদলে যাবে। মানে সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, প্রিভিলেজ কমিটি, ইস্টিমেশন কমিটি, পাবলিক আন্ডার টেকিং কমিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে সভাপতি পদে বিরোধীদলের মধ্যে আসনের সংখ্যানুপাতিক অনুযায়ী পদ পাবে, বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
বিএনপির এ শীর্ষ নেতা আরও বলেন,
নারীদের সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার বিষয়ে সবাই একমত। এটা নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেটা এখনো চলমান।
আস্থাভোট ও অর্থবিলে ঐকমত্যের পৌঁছেছে সবগুলো দল। এই দুটি জুলাই সনদে যুক্ত হবে৷ ৭০ অনুচ্ছেদের বাকিগুলো অর্থাৎ সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুর নির্বাচনী ইশতেহারে যোগ করবে দলগুলো বলেও জানান তিনি।
এদিন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে বিএনপিসহ প্রায় ৩০টি দল যোগ দেয়। ৭০ অনুচ্ছেদ, দ্বিকক্ষ সংসদ, প্রধান বিচারপতি নিয়োগসহ সংবিধানবিষয়ক বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলে।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে, জাতি ও রাষ্ট্রের স্বার্থে সবাইকে ছাড় দেয়ার আহ্বান জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন,
সহযোগিতা পেলে জুলাই মাসেই প্রকাশ হবে জাতীয় সনদ।
সূচনা বক্তব্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, নারী প্রতিনিধিত্বসহ দ্বিকক্ষ সংসদ এবং প্রধান বিচারপতির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে বলে বলে জানান কমিশনের সহ-সভাপতি।
যেসব সংস্কার সুপারিশ নিয়ে আলোচনা শেষ হয়নি-সেসব বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপে বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আলোচনায় যোগ দেন বিএনপি, এনসিপি, সিপিবি, বাসদ, খেলাফত মজলিসসহ প্রায় ত্রিশটি দলের নেতারা। তবে দেখা যায়নি জামায়াতের কোনো নেতাকে।
কমিশন বলছে, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে আগামী শনিবার পর্যন্ত ধাপে ধাপে চলতে পারে এ আলোচনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩১:৫৬ ৯ বার পঠিত