
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন, কিন্তু দেশটিতে হামলা চালানো হবে কি না- সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
সংবাদমাধ্যম সিবিএস-এর বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
একটি গোয়েন্দা সূত্র সিবিএসকে জানিয়েছে, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করতে রাজি হতেও পারে- এমন চিন্তায় হামলা শুরু করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন ট্রাস্প। তবে তিনি ইরানের ভূগর্ভস্থ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ফোর্দো-তে মার্কিন হামলার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বুধবার (১৮ জুন) ট্রাম্পের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তার ‘ধৈর্য ফুরিয়ে গেছে’।
এছাড়া ইরানে মার্কিন সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করতে পারি, আবার না-ও করতে পারি’।
এদিকে, মার্কিন নৌবাহিনীর নতুন এবং বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড’ ভূমধ্যসাগরে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত বলে জানা গেছে। ইরান-ইসরাইল সংঘাতের মধ্যে এটাই ওই অঞ্চলে সবশেষ বড় সামরিক পদক্ষেপ।
সিএনএন-এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যাকারি কোহেনের বরাত দিয়ে আরেক মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট বুধবার (১৮ জুন) এ খবর জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ১,১০০ ফুট উচ্চতার পারমাণবিক শক্তিচালিত রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইউরোপে মধ্যপ্রাচ্যের কাছে পাঠানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা এই অঞ্চলের তৃতীয় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী হিসেবে বিবেচিত হবে।
বলা হচ্ছে, জেরাল্ড ফোর্ড ইউএসএস কার্ল ভিনসনের সাথে যোগ দেবে, যা ইতোমধ্যে পারস্য উপসাগরে রয়েছে। এবং ইউএসএস নিমিৎজ, যেটি এই সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া বুধবার প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, ইরানের আশপাশে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বাহরাইনের একটি মার্কিন নৌঘাঁটি ত্যাগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২০:২২ ১০ বার পঠিত