
দুপুরের পর থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির প্রভাবে ঢাকার ব্যস্ত সড়কগুলো এখন ছাতা আর রেইনকোটের দখলে। টানা বৃষ্টিতে একদিকে যেমন গরমের অবসান হয়েছে অন্যদিকে পায়ে হাঁটা পথচারীদের দুর্ভোগ দ্বিগুণ হয়েছে। তবে কেউই থেমে নেই, কর্মময় দিনে বৃষ্টিতে ভিজেই ছুটছেন অনেক শ্রমজীবী আর নিম্ন আয়ের মানুষেরা। যদিও এখনো কোথাও পানি জমেনি তবুও শহরজুড়ে বৃষ্টির কারণে তৈরি হয়েছে এক ধরনের নীরব ভোগান্তি।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর বাজার, ধানমন্ডি, সাইন্সল্যাব, নীলক্ষেত, আজিমপুর ও পল্টন মোহাম্মদপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে—অধিকাংশ মানুষ ছাতা হাতে বাইরে বের হয়েছেন। অফিসগামী, দোকানিরা ছাতার নিচে মাথা গুঁজে ব্যস্ত পায়ে চলছেন। তবে নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের হাতে ছাতা নেই। কারও মাথায় পলিথিন, কেউ আবার ভিজে গা-মাথা করে ছুটছেন জীবিকার খোঁজে।
সাইন্সল্যাব মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক রাজু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ভিজেই বসে থাকি। এমন দিনে ভাড়া কম, খরচ বেশি। কিন্তু থেমে থাকলে চলবে না। যে যাত্রী পাই তাদের নিয়েই বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যে পোঁছে দেই।
আব্দুল খালেক নামের আরেক রিকশাচালক বলেন, এই বৃষ্টিতে রাস্তায় রিকশা চালানো খুব ঝুঁকিপূর্ণ। একটা হাত ছাতা ধরে রাখি, আরেক হাতে হ্যান্ডেল। মাঝেমধ্যে আবার ছাতা ছাড়াই রিকশা চালাই। কারণ, এক হাতে ধরে রাখা কষ্টের কয়ে যায়।
নাহিদা ইসলাম নামের কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, সকালে বৃষ্টি ছিল না। তাই ছাতা নিয়ে বের হইনি। এখন বের হয়ে দেখি অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। আবার বাসে উঠতেও যুদ্ধ করতে হয়েছে।
অন্যদিকে, আগামী পাঁচদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৬:৫৭ ৯ বার পঠিত