
গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) ২০২৪ পঞ্জিকা বছরে প্রায় সমান আয় ও ব্যয় দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (২৮ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেন।
পরে নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০২৪ সালে গণ অধিকার পরিষদের আয় হয়েছে ৪৬ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ টাকা।
আগের জমা ছিল ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১৩ হাজার ২১২ টাকা।’
বাংলাদেশের বিগত তিনটি নির্বাচন জাতির জন্য লজ্জাজনক ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন সরকারের দায়িত্ব জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের নিবন্ধন স্থগিত করা। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিইসিকে চিঠি দিয়েছিলাম এই দুই দলের নিবন্ধনও স্থগিত করতে। সিইসিকে আমরা এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছি। সিইসি বলেছেন এই বিষয়ে কমিশনের করার কিছু নেই। সরকার আওয়ামী লীগের মতো তাদেরও নিষিদ্ধ করলে তখন ইসি ব্যবস্থা নিতে পারবে।
রাশেদ আরো বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতারা যাতে স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিতে না পারেন সে বিষয়েও ইসিকে বলেছি। সিইসি বলেছেন যারা দলটির পদে ছিলেন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’
ইনক্লুসিভ নির্বাচন মানে সব দলের অংশগ্রহণ নয়। সব মানুষ ভোট দিলেই ইনক্লুসিভ হবে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা যেন নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০২:০৫ ১৪ বার পঠিত