
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেছেন, “আমি ২০০৬ সাল থেকেই বলছি—বন্দরের পাঁচটি ইউনিয়ন সিটি করপোরেশনের আওতায় আসা দরকার। এতে উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। কিন্তু এই অঞ্চলকে নারায়ণগঞ্জ-৫ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ঠেলে দিলে সিটি করপোরেশনের আওতায় আসার কোনো সুযোগ থাকবে না।”
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর কদম রসূল কমিউনিটি সেন্টারে ‘আমরা বন্দরবাসী’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনের এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই এক বছরে আমরা দেখেছি, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন নিয়ে নানা পাঁয়তারা চলছে। এতে দ্বিধা বা বিশ্লেষণের কিছু নেই—এই আসন নিয়ে বৈষম্য করা হচ্ছে। অথচ একটি নির্বাচনী এলাকা জনস্বার্থের ভিত্তিতে নির্ধারিত হওয়া উচিত।
বন্দরবাসী সচেতন হয়ে উঠেছে—এটাই আমাদের বড় শক্তি। একসময় এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল সীমিত, হাইস্কুলও ছিল না বললেই চলে। কিন্তু আমি যখন নির্বাচিত হই, তখন সরকারি কলেজ, হাসপাতাল গড়ে তুলি। পৌরসভা থেকে এখন সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়া সম্ভব হয়েছে আপনাদের কারণে—এই সম্মান আমার নয়, আপনাদের।
নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “গত জাতীয় নির্বাচন ছিল একদফার। দিনের ভোট রাতে দিয়ে বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত করা হয়েছে। ফলাফল ইচ্ছাকৃতভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জনগণের পক্ষে কাজ না করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে আগামীতে দেশকে প্রতিকূল অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বন্দরবাসী’র সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার সাঈদ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন লিপেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা, মুছাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম, বন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি আতাউর রহমানসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৮:০১ ৩২ বার পঠিত