
জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে বন্দুকধারীদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে ২ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছেন আরও দুই সেনা।
শনিবার (৯ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, শনিবার চলমান এই বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছেন আরও দুই সেনা। এ নিয়ে সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা প্রায় ১০ জন। জম্মু-কাশ্মীরের ঘন বনাঞ্চলে ‘সন্ত্রাসীরা’ বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি ‘সন্ত্রাসবাদী’ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘতম সংঘর্ষের একটি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৫তম কর্পস সদর দপ্তর এক্স বার্তায় বলেছে, ‘জাতির জন্য কর্তব্য পালনকারী সাহসী সেনা লেফটেন্যান্ট নায়েক প্রিতপাল সিং এবং হরমিন্দর সিংয়ের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে সম্মান জানাচ্ছে চিনার কর্পস। তাদের সাহস এবং নিষ্ঠা আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। এ ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনী গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিযান এখনও চলমান রয়েছে এবং লুকিয়ে থাকা ‘সন্ত্রাসীদের’ খুঁজে বের করার জন্য শত শত সেনা বৃহত্তম সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কাজ করছে। অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন এবং আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার। প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ এবং মাঝে মাঝে বিস্ফোরণের মধ্যে, আখালের ঘন আলপাইন বনে সন্দেহজনক এলাকায় ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ফেলতে দেখা গেছে।
সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনী ও প্যারা-ট্রুপারসহ সেনারা সাবধানতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনডিটিভি। এর আগে শুক্রবার আখাল এলাকায় সন্ত্রাসীদের একটি বড় দল উপস্থিত থাকার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সিআরপিএফ যৌথ অভিযান শুরু করে। এরপর থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এক স্থানীয় সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে এই তীব্র গোলাগুলির ঘটনায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযান শুরু হওয়ার সময় পাঁচজন সন্ত্রাসীর উপস্থিতির তথ্য ছিল। তাদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজন বিদেশি সন্ত্রাসী যারা জঙ্গল যুদ্ধে প্রশিক্ষিত বলে মনে করা হচ্ছে। কাশ্মীরে খুব কম স্থানীয় সন্ত্রাসী অবশিষ্ট আছে যারা নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি যুদ্ধ করার জন্য প্রশিক্ষিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২২:৪৬ ৯ বার পঠিত