
জামালপুর প্রতিনিধি : সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ আসনের (সরিষাবাড়ী) সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আক্তার এই নির্দেশ দেন। মামলায় মুরাদ হাসানসহ আরও একজন আসামি রয়েছেন।
মামলার সূত্র অনুযায়ী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন ডা. মুরাদ হাসান একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজের টকশোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে “অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য” করেন।
মামলার বাদী জামালপুর জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা লায়ন মো. রুমেল সরকার অভিযোগ করেন যে, মুরাদ হাসানের এই ধরনের মন্তব্যে জিয়া পরিবারের ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই অভিযোগে তিনি আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ডা. মুরাদ হাসান ছাড়াও ওই টকশোর উপস্থাপক, চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান জানান, গত ২৪ মে সরিষাবাড়ী আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুকসানা পারভীন ১০ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলাটি আমলে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ও মহি উদ্দিন হেলালকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিলেন। তবে, তারা কেউই আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে আদালতে উপস্থিত হননি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
মামলার বাদী রুমেল সরকার বলেন, তিনি আশা করেন পুলিশ দ্রুত এই পরোয়ানা কার্যকর করে আসামিদের গ্রেপ্তার করবে এবং আদালতে হাজির করবে।
ডা. মুরাদ হাসান ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং পরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে অশ্লীল কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হলে তিনি মন্ত্রীর পদ হারান।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৪:০০ ৫৬ বার পঠিত