শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জনগণের ওপর পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেবেন না : জাহিদ হোসেন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » জনগণের ওপর পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেবেন না : জাহিদ হোসেন
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫



জনগণের ওপর পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেবেন না : জাহিদ হোসেন

পিআর পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, দেশের জনগণকে কোন অবস্থাতেই অবহেলার চেষ্টা করবেন না। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে কাদেরকে দায়িত্ব দেবে। কোনো অবস্থাতেই জনগণের ওপর কোনো মতামত, কোনো পিআর চাপিয়ে দেবেন না। দেশের সংবিধান অনুয়ায়ী সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচনের কথা লেখা আছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমীতে পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল-২০২৫ এ এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশ অনেক আছে, যেমন গ্রেট বৃটেন কোথায় সেদেশে কি আপনার পিআর এর প্র্যাকটিস হয়? পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়ায় শুধু দক্ষিণ ইন্ডিয়ায় অনেক প্রদেশ আছে এর মধ্যে মাত্র তিনটি প্রদেশে পিআর প্রাকটিস করে। তাও নিম্ন কক্ষে করে না। ভারত একটি বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে তারা তো করে না? তাই আজকে যারা পিআর পদ্ধতি চান, খুব ভালো কথা।
তাহলে জনগণের কাছে যান জনগণকে বোঝান জনগণ যদি মেনে নেয়—আলহামদুলিল্লাহ। জনগণ যেটি রায় দেবে সবাই মেনে নেবেন। সেই অনুযায়ী হবে।

তিনি বলেন, আমাদের জানতে ইচ্ছা করে যে, বাংলাদেশের সংবিধানে কোথাও কি স্বৈরাচার হওয়ার কথা কী লেখা ছিল? কিন্তু সংবিধানের তো কোনো দোষ নেই, দোষ হচ্ছে, যারা দিনের ভোট রাতে করেছেন।
যারা বিনা ভোটে নির্বাচন করেছেন। যারা ডামি নির্বাচন করেছেন। জনগণকে দেশের মালিক মনে না করে খালি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য আর প্রশাসন আর বিচার মন্ত্রণালয়ের কিছু সংখ্যক মানুষকে কবজা করে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছেন। দেশটাকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তির মতো ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন, দোষ তো তাদের? দোষ তো সংবিধানের নয়? সংবিধানে তো ভাল ভাল কথা লেখা ছিল।

মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মমশাদ আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সম্মেলনের উদ্বোধক মো. ফয়জুল করিম ময়ুন।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ভিপি মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মুকিত, জেলা যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান।

পৌর বিএনপি সম্মেলন ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মো. ফখরুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মুজিবুর রহমান মজনু ও আবুল কালাম বেলাল।

এদিকে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে বিকেল ৪টার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে গোপন ব্যালটে নেতৃত্ব নির্বাচিত করার জন্য পৌর বিএনপির সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি, সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোট ১৬ জন প্রার্থী অংশ নেন।

মৌলভীবাজার পৌরসভার মোট নয়টি ওয়ার্ডে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ৬৩৯জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার উৎসবমূখর পরিবেশে প্রয়োগ করছেন। দীর্ঘ দিন পর গোপন ব্যালটে গনতান্ত্রিক পরিবেশে বিএনপির আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচিত করার দায়িত্ব পাওয়াতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ভোট দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫০:০৯   ২৪ বার পঠিত