
অধিকৃত পশ্চিম তীরে মঙ্গলবার পতাকা নাড়িয়ে এবং প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পোস্টার হাতে পশ্চিমা শক্তিগুলোর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া উদযাপন করতে জনসমুদ্র জড়ো হয়েছিল।
রামাল্লাহ শহরের কেন্দ্রীয় চত্বরে দেশপ্রেমমূলক স্লোগান ভেসে আসছিল লাউডস্পিকারে, যেখানে এক শরও বেশি মানুষ ফিলিস্তিনি ও ইউরোপীয় পতাকা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিল, পাশাপাশি ছিল ‘গণহত্যা বন্ধ করো’ লেখা সাইনবোর্ড।
আব্বাসের রাজনৈতিক আন্দোলন ফাতাহ এবং পশ্চিম তীরে সীমিত নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা করমর্দন ও হাসিমুখে অংশ নেন।
ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব জিবরিল রজুব এএফপিকে বলেন, ‘এই স্বীকৃতি একটি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ, যা আমরা আশা করি অব্যাহত থাকবে।
এটি আমাদের জনগণের শত বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিরোধ ও দৃঢ় সংকল্পের ফল।’
রজুব বলেন, আগের রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণগুলো শুনে তিনি আবেগাপ্লুত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
৩৯ বছর বয়সী ফাতাহ সদস্য মাইসুন মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আজ এখানে এসেছি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানাতে, তবে একই সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাতে।
বিশ্বের এখন দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে।’
উত্তরের তুলকারেমে আরো কয়েক ডজন মানুষ জড়ো হয়, যারা এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর পতাকা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এখন ইউরোপের সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, সোমবার ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা ও অন্যদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর, প্রায় দুই বছরের গাজা যুদ্ধ ও পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে।
এর এক দিন আগে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও পর্তুগালও একই পদক্ষেপ নিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩২:১১ ১৩ বার পঠিত