
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন ; জলমহাল (নদী, খাল, বিল, হাওর, বাওড়সহ বিভিন্ন প্রকার জলাশয়) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলো শুধু মাছের উৎপাদন ও জীবিকার ক্ষেত্র নয়; পরিবেশের ভারসাম্য, নৌপরিবহন, কৃষি, পানির সরবরাহ ইত্যাদিতেও বড় অবদান রাখে। কিন্তু বর্তমানে দখল, দূষণ, অপরিকল্পিত উন্নয়ন, অতিরিক্ত আহরণ ইত্যাদির কারণে জলমহালগুলো হুমকির মুখে।
“সরকারি জলমহাল অধ্যাদেশ, ২০২৫” শীর্ষক প্রণয়নাধীন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে আজ(রবিবার বিকালে) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত কর্মশালার তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় জনাব এ এস এম সালেহ আহমেদ, সিনিয়র সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয় সভাপতিত্ব করেন।
জলমহাল কেবল একটি জলাশয় নয়; এটি দেশের অর্থনীতি, খাদ্যনিরাপত্তা, পরিবেশ ও সমাজজীবনে বহুমুখী অবদান রাখছে। আমাদের সবার উচিত জলমহালগুলোর সুষ্ঠু ব্যবহার, সংরক্ষণ ও উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান সিনিয়র সচিব।
তিনি আরো বলেন; সরকারি মালিকানাধীন জলমহালসমূহ, সরকারের দখল বজায় রাখা, রেকর্ড সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করা প্রয়োজন; যেহেতু উক্ত জলমহালসমূহ পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও জলজ জীববৈচিত্রের ধারক এবং সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস্য হিসাবে গণ্য করা হইয়া থাকে; যেহেতু দেশের সকল সরকারি জলমহালের সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত আইন প্রণয়ন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।
বাংলাদেশের সকল সরকারি জলমহালের সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান(সচিব) ভূমি সংস্কার বোর্ড,এ. জে. এম. সালাহউদ্দিন নাগরী; ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব), ড. মাহমুদ হাসান; ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(গ্রেড-১), মো: সাইদুর রহমান; ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ; মোঃ হান্নান মিয়া, ল্যান্ড পলিসি স্পেশালিস্ট, অটোমেটেড ল্যান্ড এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এ্যলামস); মোঃ হামিদুর রহমান, ল্যান্ড সার্ভিসেস স্পেশালিস্ট, অটোমেটেড ল্যান্ড এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এ্যালামস) এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৮:৩২ ৩৩ বার পঠিত