
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার কিছু অংশ হামাস মেনে নেওয়ার সংকেত দেওয়ার পর গাজায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সে নির্দেশ অমান্য করেই গাজায় আবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
হামাস গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, তারা বন্দিদের মুক্তি ও আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।
তবে এই ঘোষণার পরও ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গোলার আঘাতে গাজায় নিহতের তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গাজার জরুরি পরিষেবার তথ্য মতে, রাতের বেলা গাজা সিটিতে ইসরায়েল ডজনের বেশি বিমান ও আর্টিলারি হামলা চালায়। এতে অন্তত ২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং শিশুসহ বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলি বাহিনীও শনিবার গাজার শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, এই অঞ্চল এখনো ‘বিপজ্জনক’ এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া শহরটির বাসিন্দাদের উত্তর দিকে যাওয়া বা সামরিক কর্মকাণ্ডের কাছে না যেতে আহ্বান জানায়।
প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনা গাজায় আক্রমণ স্থগিত রেখে প্রতিরক্ষায় মনোনিবেশ করবে এবং গাজা সিটি দখলের চিন্তা থেকে সরে আসবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র হামাস কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা সব বিষয় চূড়ান্ত করতে আলোচনা শুরুর জন্য প্রস্তুত।’
স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ঘোষণা অনুযায়ী, তারা গাজা থেকে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে যুদ্ধ শেষে নিরস্ত্র হওয়া বা উপত্যকা থেকে চলে যাওয়ার মতো দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৪:০২ ৫২ বার পঠিত