
ফাইনালের আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টির ট্রফি উন্মোচনের সময় আকবর আলির বলা কথা আপনার কি মনে আছে। বিসিবির প্রকাশিত ফাইনালের প্রোমো ভিডিওতে রংপুর বিভাগের অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আহা! আবারও সেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। রয়েল বেঙ্গলদের হারিয়ে এবার শুধু ট্রফি নেওয়ার পালা।’
আকবরের প্রতিউত্তরে খুলনা বিভাগের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন বলেছিলেন, ‘ট্রফি যাবে এবার খুলনায়।
এই নে তোর জন্য ভাইরাল কেক।’ আকবর এবার বলেন, ‘ভাই রাখেন কেক, কাপ নেব ব্যাক টু ব্যাক আমরাই।’
কথা রেখেছেন আকবররা। দ্বিতীয় শিরোপাও জিতেছে রংপুর।
৮ উইকেটের জয়ে কোনো বাধাই তৈরি করতে পারেনি খুলনা। ১৮ বল হাতে রেখেই যে উদযাপনে মেতেছে রংপুর। জয়টাও এসেছে দেখার মতো। খুলনার পেসার অভিষেক দাসকে ১৭তম ওভারে ৪ চার মেরে জয় নিশ্চিত করেছেন নাঈম ইসলাম।
যার দুটিই আবার টানা শেষ দুই বলে।
জয়সূচক চার মেরে পাখির মতো দুই হাত প্রসারিত করেন নাঈম। অভিজ্ঞ ব্যাটার যেন সতীর্থদের বোঝালেন আসো এবার বুকে বুক মিলিয়ে উদযাপন করি। সতীর্থরাও তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। পরে সবাই বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন।
২০২৪ সালে প্রথমবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর।
৪০ রানে অপরাজিত থাকা নাঈমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের আগে রংপুরের জয়ের ভিত গড়ে দেন নাসির হোসেন। সতীর্থ জাহিদ জাভেদকে নিয়ে ওপেনিংয়ে ৬১ রানের জুটি গড়ে। ২৭ রানে জাভেদ আউট হওয়ার পর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাসির। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে আউট হওয়ায় টানা দ্বিতীয় ফিফটিও পাওয়া হয়নি অলরাউন্ডারের।
আক্ষেপ থাকলেও রংপুর চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় নিশ্চিতভাবে নাসিরের কষ্ট লাগব হয়েছে। দলীয় ৮৪ রানে দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি নাঈম-আকবর। অবিচ্ছেদ্য ৫৪ রানের জুটি গড়ে জয় নিশ্চিত করেছেন তারা। অধিনায়ক আকবর অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।
এর আগে খুলনা ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানের সংগ্রহ পায়। শুরুতে যেভাবে খুলনা ব্যাটিং ধসে পড়েছিল অধিনায়ক মিঠুন ৪৪ রান না করলে এই সংগ্রহ পেত না। কিছুটা অবদান ছিল ১৩ বলে সমান দুই চার-ছক্কায় ২৪ রান করা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫২:৩৬ ১১ বার পঠিত