![]()
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দল ধর্মকে বেপরোয়াভাবে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ঘরে ঘরে বেহেশতের টিকিট বিক্রির মতো প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে ভুল পথে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই জাতি ১৯৭১ সালের ঘটনা ভুলে যায়নি। যারা ধর্মের অপব্যবহার করে জনগণকে ঠকাতে চায়, জনগণই তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের জিন্দাপীর মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভোটারদের ভোট নিশ্চিত করতে একটি দল এখন কসম কাটানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এটি রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার চরম প্রকাশ। যারা ধর্মের নামে মানুষকে ভয় দেখিয়ে বা স্বপ্ন দেখিয়ে ভোট নিতে চায়, তারা জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু।
ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা আরেক ধরনের প্রতারণা। ৭১-এও কিছু মানুষ ধর্মের দোহাই দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল। আজও একই ধারার রাজনীতি চলছে, তবে জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন।
তিনি বলেন, নিজেদেরই বেহেশতে যাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, অথচ মানুষকে বেহেশতের আশা দেখানো হচ্ছে।
দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মানুষ এখন আশাবাদী। জনগণ চায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে। তাই ধর্মকে ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ালেও ভোট ঠেকানো সম্ভব হবে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, একটি মহল এখনও নির্বাচনে অনিশ্চয়তা তৈরি করতে নাশকতার পথ বেছে নিতে চায়। তবে জনগণ এবার শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে।
ধর্মের অপব্যবহার আর ভয়ভীতি দেখানোর রাজনীতি টিকবে না। মানুষ স্বাধীনতার চেতনা ও গণতন্ত্রের পথে রয়েছে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, ঢাকা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জুয়েল মোল্লা, তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক খোরশেদ আলম জমিদার, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল মোল্লা ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৬:২১ ৯ বার পঠিত