
সৌদি আরবে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে চার আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বলদাক জেলার গভর্নর নিহতের খবর তথ্য জানিয়েছেন।
দুই দেশের কর্মকর্তারাই শুক্রবার রাতে সংঘাতের খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে আগে গুলি চালানোর অভিযোগ এনেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, পাকিস্তান বাহিনী স্পিন বলদাক জেলায় প্রথমে ‘আক্রমণ শুরু করেছে’। পরে আফগান বাহিনী পাল্টা জবাব দিয়েছে।
তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, আফগান বাহিনী চামান সীমান্তে ‘বিনা উসকানিতে হামলা’ চালিয়েছে।
পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় আছে।’
আফগান সীমান্তেরবাসিন্দারা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুলি বিনিময় শুরু হয় এবং প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সংঘাত চলে।
কান্দাহারের তথ্য বিভাগের প্রধান আলী মোহাম্মদ হকমাল এএফপিকে বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী ‘হালকা ও ভারী কামান’ দিয়ে হামলা করেছে। কামানের গোলা বেসামরিক বাড়িতে আঘাত হেনেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সংঘর্ষ আপাতত শেষ হয়েছে, উভয় পক্ষই বন্ধে সম্মত হয়েছে।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান বারবার তালেবান কর্তৃপক্ষকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ করেছে, অন্যদিকে কাবুল ইসলামাবাদকে তার আকাশসীমা লঙ্ঘন এবং অযথা চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছে। দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেঙে পড়ায় একে অপরকে দোষারোপ করার ঘটনাও ঘটেছে।
অক্টোবরের গোড়ার দিকে সীমান্ত সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই সংঘর্ষের পর, তুরস্ক এবং কাতার মধ্যস্থতা করার জন্য এগিয়ে আসে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০০:০৮ ৭ বার পঠিত