
ভোলার চরফ্যাশনে গণসংযোগে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। আহতদের চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও নৌবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় দফায় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত জামায়াতকর্মীরা হলেন মাওলানা ছালাউদ্দিন, জামসেদ জামাল, ডাক্তার মোশারেফ হোসেন, নজরুল ইসলাম ও মো. রাফসান। বিএনপির নেতাকর্মীরা হলেন, মো. রুবেল, মো. নাছিম, বেল্লাল, মো. নাসির, ভুট্টো ও বাবুল।
হামলার বিষয়ে বিএনপি এবং জামায়াত নেতারা একে অপরকে দায়ী করছেন।
বিএনপির পক্ষে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব সাবেক কাউন্সিল জাহিদুল ইসলাম রাসেল স্থানীয় যুবদল নেতা সবুজের বরাত দিয়ে জানান, চকবাজার এলাকায় জামায়াত এবং বিএনপি উভয়দলের গণসংযোগ চলাকালে জামায়াতের গণসংযোগে যুবলীগের জামালের অংশ নেওয়া এবং জামায়াতের কিছুলোক বিএনপির গণসংযোগের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এতে তাদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ফয়সালার জন্য বসার কথা থাকলেও ছাত্রশিবির ৩০টি মোটরসাইকেলে গিয়ে সেখানে বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১০/১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে ভোলা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের গণসংযোগকালে অহেতুক হামলা করে। আমরা দ্রুত অপরাধী বিএনপি কর্মীদের বিচার দাবি করছি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এমাদুল হোসেন বলেন, হামলার বিষয়ে আমরা এখন স্পষ্ট হতে পারিনি। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশা জানান, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি।
অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৮:৫২ ১১ বার পঠিত