প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ নভেম্বর কবি বেগম সুফিয়া কামালের
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের
অন্যতম অগ্রদূত কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি
তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি বেগম সুফিয়া কামালের সাহিত্যে
সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র,
সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখনী আজও পাঠককে
আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া
কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে
পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে
কবি যোগ দেন। বেগম সুফিয়া কামাল শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা
প্রতিষ্ঠা করেন।
সুফিয়া কামাল ছিলেন একদিকে আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি,
মমতাময়ী মা; অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাঁর
অপোশহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান,
একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন
গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ
উপস্থিতি তাঁকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে পচাঁত্তরের পনেরই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের
ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তাঁর সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল।
আমি কবি বেগম সুফিয়া কামালের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা
করছি।
জয় বাংলা, জয়
বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী
হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৬:১৩ ৩৩৬ বার পঠিত