নিউজটুনারায়ণগঞ্জ : জন্মদিনে হাজারো নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। গতকাল শুক্রবার ৫৯ বছরে পা রাখলেন তিনি। দিনটির প্রথম প্রহর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শামীম ওসমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ছাড়াও রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের ফেসবুক টাইম লাইনে ছিল শামীম ওসমানময়। সবাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে রাজনীতিতে তাঁর অবদান স্মরণ করেছেন। জন্মদিনের পুরো সময় ঢাকার বসুন্ধরার বাসায় পরিবারের সদস্যদের সাথে কাটালেও রাত ৯টায় স্বস্ত্রীক নারায়ণগঞ্জের কলেজ রোডে আসেন বন্ধু আমিন ও হুমায়রা দম্পতির বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজের জন্মদিনের কেক কাটেন প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শামীম ওসমান। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এইসময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী লিপি ওসমান, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন, জিপি মেরিনা বেগম, বন্ধু ইব্রাহিম চেঙ্গিস, ছেলে অয়ন ওসমানের শ্বশুর ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ লাভলু প্রমুখ। এদিকে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে দীর্ঘায়ূ কামনায় দোয়া মাহফিল আয়োজন করেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, বন্দরের যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা একেএম শামসুজ্জোহার তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে একেএম শামীম ওসমান। তার বাবা ছিলেন, ভাষা সৈনিক, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, সাবেক গণপরিষদের সদস্য ও মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত। মা নাগিনা জোহা ছিলেন ভাষা সৈনিক। প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শামীম ওসমান যখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সে সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে পোস্টার লাগাতে গিয়ে পুলিশের বেধড়েক পিটুনির শিকার হয়েছিলেন। ৮০’র দশকের প্রথমভাগে সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে তার রাজনৈতিক পথচলা শুরু। ৮১ সালে তিনি তোলারাম কলেজে ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কাঁপিয়েছেন। স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেন এই ছাত্র নেতা। পরবর্তীতে শহর আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সংসদে জ্বালাময়ী ভাষণ, গোলাম আজমকে নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, লং মার্চে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে বাধা, টানবাজার পতিতাপল্লী উচ্ছেদ ও পুনর্বাসন করে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জের ডিজিটাল টেলিফোন, লিংক রোড নির্মাণ, খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস সমস্যার সমাধান, বক্তাবলীতে বিদ্যুৎ সংযোগ, তোলারাম কলেজে অনার্স মাস্টার্স কোর্স চালু, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন, নতুন আদালত ভবন, জেলা কারাগার নির্মাণ শামীম ওসমানের এমপি থাকা সময়ে বড় কাজগুলোর অন্যতম। দ্বিতীয় দফায় ২০১৪ সালে এমপি র্নিবাচিত হওয়ার পর শামীম ওসমানের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ডিএনডিবাসীর দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা স্থায়ী নিরসনে প্রকল্প গ্রহণ। প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী কাজ করছে। ২০১৮ এর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে শামীম ওসমান এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৮:১৪   ২০৬ বার পঠিত