এখনও শনাক্তের বাইরে ১৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » এখনও শনাক্তের বাইরে ১৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী
মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২



এখনও শনাক্তের বাইরে ১৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী

উন্নত ও বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও জনসচেতনতার অভাব ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে বিপুল সংখ্যক রোগী শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক এক জরিপে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। অথচ দেশে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৯৭ শতাংশ।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘যক্ষ্মা এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত অ্যাডভোকেসি এবং নেটওয়ার্কিং’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রী আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. খুরশীদ আলম।

নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) সহকারী পরিচালক আফজালুর রহমান, ব্র্যাকের সংক্রামক রোগ কর্মসূচির প্রধান ডা. শায়লা ইসলাম প্রমুখ।

এতে ব্র্যাক, আইসিডিডিআর’বি, পার্টনারস ইন হেলথ ইন ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি), এআরকে ফাউন্ডেশন, খুলনা মুক্তিসেবা সংস্থা (কেএমএসএস), নাটাব, বিজিএমইএ, পায়াকট বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কর্মকর্তাসহ মোট ৫০ জনের ও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এতে ‘যক্ষ্মা বিষয়ক’ উপস্থাপনা তুলে ধরেন নারী মৈত্রীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিভাগের পরিচালক মাসুদা বেগম। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, যক্ষ্মা বিশ্বের ১০টি প্রধান মরণব্যাধির একটি। বাংলাদেশের জন্য এটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যক্ষ্মা নির্মূলের মাধ্যমে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান-স্টপ টিবি পার্টনারশিপ এবং অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, দেশে প্রতিদিন অন্তত ৯৭৮ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এর মধ্যে ১৬ জন ওষুধ প্রতিরোধী (এমডিআর) যক্ষ্মায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম জোরদার, জনসচেতনতা সৃষ্টি, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিতভাবে কাজ করা, দাতা সংস্থাগুলোর অর্থায়ন বাড়ানো, সঠিকভাবে শিশু যক্ষ্মারোগী শনাক্তকরণ, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যক্ষ্মা চিকিৎসাকে আরও অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৩:৩৬   ৩৯৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আল কোরআন ও আল হাদিস
শাহজালাল বিমানবন্দরে রপ্তানি কার্গো থেকে ১ হাজার ৯০০ ইয়াবা উদ্ধার
হবিগঞ্জ গ্যাসফিল্ডের ৫ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু
ভিন্নধর্মী সাজে চমক দেখালেন সানি লিওন
আমরা শুধু অসিলা, নেতৃত্ব নির্ধারণ হয় আসমানে : হাসনাত
২০ বছর আগে কেন জামায়াতে যোগ দিয়েছিলেন, জানালেন কৃষ্ণ নন্দী
বন্দরে অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে গিয়ে আটক ২০
চশমা প্রতীকে নির্বাচন করবে ৮ দলের শরিক দল জাগপা
কদম-রসুল সেতুর টেস্ট পাইলিং কাজের উদ্বোধন
অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কঠোর অভিযান দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ