কৃষি উৎপাদনশীলতা উন্নত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ শুরু

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » কৃষি উৎপাদনশীলতা উন্নত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ শুরু
সোমবার, ২৮ আগস্ট ২০২৩



কৃষি উৎপাদনশীলতা উন্নত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ শুরু

এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “Knowledge Transfer to Improve Agricultural Productivity” শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে। ২৮ আগস্ট হতে ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত কৃষি উৎপাদনশীলতা উন্নত করার জন্য জ্ঞান স্থানান্তর বিষয়ে এ প্রশিক্ষণ কোর্সে এপিওভুক্ত কম্বোডিয়া, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, চীন প্রজাতন্ত্র, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং স্বাগতিক বাংলাদেশের ২৪ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।

এ উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশে এপিও’র বিকল্প পরিচালক জনাব মো: মেজবাহুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন। এছাড়া, এপিও’র মহাসচিব এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন মিস্টার তোশিনোরি মিৎসুনাগা, প্রোগ্রাম অফিসার, মাল্টি-কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিভিশন, এপিও সেক্রেটারিয়েট, জাপান।

প্রশিক্ষণ কোর্সে তিনজন রিসোর্স পার্সন জাপানের ড. কোইচি ফুকুদা, ভারতের ড. মেলমঙ্গলম রামানাথান রামাসুব্রমানিয়ান এবং বাংলাদেশের ড. শেখ তানভীর হোসেন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রশিক্ষণ কোর্সে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে কৃষি জ্ঞান স্থানান্তর এবং সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তির ধরন এবং ভূমিকা, জাপান, ভারত ও বাংলাদেশে কৃষি সম্প্রসারণ পরিষেবা এবং স্মার্ট কৃষি, উৎপাদনে মনোযোগী স্মার্ট কৃষির উন্নয়ন, বাংলাদেশে সমবায় ভিত্তিক গ্রামীণ উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রম, স্মার্ট ডেভেলপমেন্ট অব স্মার্ট এগ্রিকালচার, বিতরণ এবং কৃষি সম্প্রসারণের দিকনির্দেশনা, কৃষক থেকে কৃষকে জ্ঞান বিনিময় বৃদ্ধির জন্য একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করা ইত্যাদি।

এছাড়াও আলোচকরা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এপিও সদস্য দেশের কৃষি উৎপাদনের মূল্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে (এফএও, ২০২১)। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সংস্থাগুলির গবেষণা ও উন্নয়নের অগ্রগতি সেক্টরে উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতার ক্রমাগত বৃদ্ধি সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এগ্রিকালচারাল নলেজ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (AKIS) প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে জ্ঞান ভাগাভাগি করতে সহায়তা করে। যদিও প্রযুক্তি এবং পদ্ধতিগুলি বিকশিত হয়েছে, এপিও সদস্য দেশের সকল কৃষক সেগুলি গ্রহণ এবং ব্যবহার করার জন্য তৈরি নয়। এর বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে, তবে একটি সীমাবদ্ধতা হল গবেষণা সংস্থা থেকে কৃষি সম্প্রদায়ের মধ্যে জ্ঞান, বোঝা-পড়া এবং দক্ষতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাঠামোগত, শক্তিশালী জ্ঞান স্থানান্তর প্রকল্পের অভাব।

উল্লেখ্য, এ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্দেশ্য হলো কৃষকদের কাছে জ্ঞান স্থানান্তর পদ্ধতির ধারণা, ব্যবস্থাপনা এবং মডেল বোঝা, এই ধরনের স্থানান্তর প্রয়োগ করার পদ্ধতি এবং কৌশলগুলি ব্যাখ্যা করা, জ্ঞান স্থানান্তর এবং উদ্ভাবন মডেলের সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি থেকে সাফল্যের মূল কারণগুলি সম্পর্কে জানা এবং এপিও সদস্যদের মধ্যে তাদের প্রয়োগ করার সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৪:৪৮   ১৩৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও বাণিজ্য’র আরও খবর


কুমিল্লায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে
এলএনজি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী কাতার : শিল্পমন্ত্রী
কুমিল্লা ইপিজেডে ৬১ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে ডাচ-বাংলা যৌথ কোম্পানি
যুক্তরাষ্ট্রের লিড স্বীকৃতি পেল আরেক পোশাক কারখানা
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গবেষণা আরো বাড়ানো হবে : কৃষিমন্ত্রী
কুমিল্লায় বাঙ্গি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক কৃষক
পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল, দাবি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ