ঘূর্ণিঝড় মিধিলি : টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা

প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ঘূর্ণিঝড় মিধিলি : টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা
শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩



ঘূর্ণিঝড় মিধিলি : টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি আবার কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে গোড়ালি থেকে হাঁটু পরিমাণ পর্যন্ত পানি দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের বাকলিয়া, কাতালগঞ্জ, বাদুরতলা, বড়গ্যারেজ, চকবাজার, হালিশহর, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমেছে। এসব এলাকায় দৈনন্দিন প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বেসরকারি চাকরিজীবী ইমরান উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি হলে চট্টগ্রামে পানি উঠবে, এটাই স্বাভাবিক। গত বর্ষায় নগরের লোকজনকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছি। এখন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অসময়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণে লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে, টানা বৃষ্টি হওয়ায় নগরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছে জেলা প্রশাসন। নগরের আকবরশাহ এক নম্বর, দুই নম্বর, তিন নম্বর ঝিল ও বিজয়নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে। এরপর বন্দর নিজেদের নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে ত্রাণের জন্য ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ২৪৪ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার মূল্যের গো-খাদ্য, সমপরিমাণ মূল্যের শিশুখাদ্য, ৪৭২ ব্যাগ শুকনা খাবার, ১ হাজার পিস কম্বল এবং ৪৭ হাজার ওরস্যালাইন মজুত রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এসব সামগ্রী দ্রুত বরাদ্দ দেওয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ দুপুরে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে এবং আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা বড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১১:২৬   ১৯১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

চট্টগ্রাম’র আরও খবর


কুমিল্লায় একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় চার আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে
নারী নির্যাতনকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না : উপদেষ্টা শারমিন
কুমিল্লায় টিসিবি’র ১,৪৪২ লিটার তেল জব্দ
পটিয়া থানার সামনে বৈষম্যবিরোধীদের অবস্থান, ওসির অপসারণ দাবি
হালদা পাড়ে তামাক চাষ বন্ধের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
“জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মাইলফলক”- পার্বত্য উপদেষ্টা
হাতিয়ায় কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ ডাকাত আটক
চট্টগ্রামে বিএসটিআই’র নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন করেন শহীদ শান্ত’র মা
কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সরকার: শিল্প উপদেষ্টা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ