গাজায় ত্রাণের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের গুলিবর্ষণের ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন,
আমরা সকাল থেকে ইসরাইল সরকারের সাথে যোগাযোগ করছি এবং বুঝতে পেরেছি যে, তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা খুব কাছে থেকে এ তদন্ত প্রক্রিয়া দেখব এবং এর জবাব চাইব।
এদিকে, এ ঘটনায় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জমলট আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হস্তক্ষেপ আহ্বান করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় লেখেন:
এটি গণহত্যা। গাজার উত্তরাঞ্চলে ক্ষুধার্ত মানুষগুলো যারা তাদের বাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের ওপর গুলি চালানোটা গণহত্যা।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের গুলিবর্ষণের ঘটনায় ইসরাইল থেকে অস্ত্র কেনাবেচা স্থগিত করেছে কলম্বিয়া।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বলেছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পৃথিবীর সবারই ব্লক করে দেয়া উচিত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় তিনি বলেন,
খাবার চাইতে গিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা নিছক গণহত্যা এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়ের হলোকাস্টের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিশ্ব শক্তিগুলো এটিকে স্বীকার করুক বা না করুক।
পেট্রো গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার একজন কঠোর সমালোচক ছিলেন।
ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে খাবারের জন্য অপেক্ষারতদের ওপর ইসরাইলের গুলি বর্ষণের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লংঘন বলে দাবি করেছে। মন্ত্রণালয় জানায়, এ ঘটনা ইসরাইলের দখলদার বাহিনীর ধারবাহিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেরই অংশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার গাজায় ত্রাণের গাড়ির কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ইসরাইলি বাহিনী। এতে প্রায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত এবং সাতশরও বেশি আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৬:৫২ ৭০ বার পঠিত